অন লাইনে করোনা টিকার জন্য আবেদন করার পর আজ সকালে তৎকালিন পিজি হসপিটালে গেলাম টিকা নিতে, আয়োজন করেছিল সেরাটন হোটোলের সামনে একটি কনভেনশন সেন্টারে। আধুনিক ও সুন্দর পরিবেশ, কোথায়ও কোন অনিয়ম ছিল না, খুর সুন্দর সাজানো গোছানো নিয়মে টিকা নিলাম তেমন সময় অপচয় করতে হয় নি, প্রায় আধা ঘন্টার মধ্য টিকা নেওয়া শেষ, এর পর ছিল আধা ঘন্টার বিশ্রাম পর্ব। ঐ সময় কন উপসর্গ অনুভব হয় নি। ঘন্টা খানিক পর থেকে টিকা দেওয়ার জায়গাটিতে হালকা ব্যথা অনুভব হচ্ছিল, সেই সাথে ঘুম ঘুম ভাব, কিছুটা দূর্বলতা ও সামান্য শীত শীত অনুভূতি। ২য় পর্বের টিকা নেওয়ার দিন নির্ধারণ হয়েছে ১১ই মে, ঠিক দুই মাস পর।
ঠিকা নেওয়ার বিশেষ করে চার পাঁচ দিন আগে থেকে একটি অজানা ভীতি প্রচন্ড ভাবে চিন্তিত করে রেখেছিল। একটি অজানা ভয়ে ভীতরের শক্তি ম্লান হয়ে গিয়েছিল। এই ভয়ের কারণ ছিল কিছু কিছু মানুষের নানান উপসর্গ থেকে, বানানো শংঙ্কা থেকে। কর্ম-স্থলে আর যাই নি সারা দিনেই বিশ্রামে ছিলাম। অফসিরে কাজ সেরেছি ফোনে ও ল্যপটবের মাধ্যমে।
সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ৫টি হাসপাতালে ৭ই ফেব্রুয়ারী থেকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। শুরুর দিন ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। তবে নিবন্ধন হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।
নিজে নিবন্ধন করেছিলাম ১৫ই ফেব্রুয়ারী, মোবাইলে বার্তা পেছিলাম ২০ শে ফেব্রুয়ারী আর জানানো হয়েছিল ১১ই মার্চ আমার প্রথম ধাপের টিকা নেওয়া দিন । ঐ সময় সরকারের কাছে ৭০ লাখ টিকা ছিল। এর ২০ লাখ টিকা ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে। বাকি ৫০ লাখ টিকা সরকার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কিনেছে। এই টিকা ৩৫ লাখ মানুষকে দেওয়ার পরিকল্পনা।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা ভারতে তৈরি করছে দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট। ওই টিকা কেনার জন্য সরকার গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
তারিখ: মার্চ ১১, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,