সাধারণ আমানতকারীদের কম সুদ দিয়ে ঠকানো যাবে না বলে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব মেয়াদি আমানতের সুদহার বাড়াতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। গতকাল বুধবার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ সভায় গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে সব ডেপুটি গভর্নর ও সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। করোনার কারণে সাড়ে ছয় মাস পর ব্যাংকগুলোর এমডিদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সভা অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে সবশেষ ২৭ জুন ব্যাংকার্স সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ব্যাংকার্স সভায় আমানতের সুদহার বাড়ানোর বিষয়টি লিখিত আলোচ্যসূচিতে ছিল না। এরপরও এ নিয়েই বেশি সময় আলোচনা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, মেয়াদি আমানতের সুদহার কমপক্ষে সাড়ে ৫ শতাংশ করতে হলে অনেক ব্যাংক চাপে পড়বে। ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আবারও বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।
ব্যাংকারদের এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যাংক চলে আমানতকারীদের টাকায়। ব্যাংকের প্রায় ৮০ শতাংশ টাকা আমানতকারীদের, বাকি ২০ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের। আমানতকারীদের সুদ দেওয়া হচ্ছে আড়াই থেকে ৩ শতাংশ। আর শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দেওয়া হচ্ছে।
ব্যাংকার্স সভার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সব দিক বিবেচনা ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যক্তি পর্যায়ের মেয়াদি আমানতে মূল্যস্ফীতির কম সুদ না দিতে বলেছে। সব ব্যাংককে এ নির্দেশনা মানতেই হবে।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: আগষ্ট ১৩, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,