Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

কমেছে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা (২০২১)

Share on Facebook

দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যেও গত বছর ৫৩ হাজারের বেশি একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে। গত ২০ বছরে কমেছে প্রায় ৫ লাখ একর এলাকা। সবচেয়ে বেশি গাছপালা ধ্বংস হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট পরিচালিত প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ এই তথ্য জানিয়েছে। গত বুধবার ওই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

পরিবেশ পর্যবেক্ষণের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সহায়তায় কৃত্রিম উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা করেছে।
গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের তথ্যমতে, ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে প্রায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২১১ একর। এই বিশাল এলাকার গাছগাছালি ধ্বংস না হলে ৭৩ দশমিক ৪ মেগাটন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ ঠেকানো যেত।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ওই ২০ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রায় ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০৩ একর বৃক্ষঘেরা এলাকা কমেছে, যা মোট হ্রাসের ৯৩ শতাংশ। চট্টগ্রামের পর বেশি হ্রাস পেয়েছে সিলেটে, প্রায় ১৭ হাজার ৯৯০ একর। এ ছাড়া ঢাকায় ১২ হাজার ৪৫৪ একর, রংপুরে ১ হাজার ১০২ একর, রাজশাহীতে প্রায় ৭৮১ একর, খুলনায় ৪৪১ একর ও বরিশালে ৯৬ একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে।

গত ২০ বছরে চট্টগ্রাম অঞ্চল যে পরিমাণ বনাঞ্চল হারিয়েছে, তার ৭৬ শতাংশই বান্দরবান ও রাঙামাটিতে। ওই সময়কালে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা সবচেয়ে বেশি উজাড় হয়েছে বান্দরবানে—২ লাখ ৯ হাজার ৭৯২ একর। এ ছাড়া রাঙামাটিতে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬১০ একর, খাগড়াছড়িতে ৬০ হাজার ৫৪১ একর, চট্টগ্রামে ২৩ হাজার ১০৪ একর ও কক্সবাজারে ২২ হাজার ৭৮৩ একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা ধ্বংস হয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে গত বছরের উল্লেখযোগ্য সময়ে মানুষের চলাফেরা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত ছিল। তাই মনে করা হয়েছিল, এই বছরে বনভূমির তেমন ক্ষতি হবে না। কিন্তু দেশের গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের তথ্য সেটা বলছে না। গবেষণার তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪৯ লাখ সাড়ে ৯৬ হাজার একর (২০ লাখ ২২ হাজার হেক্টর) বনভূমি ছিল, যা মোট ভূভাগের ১৬ ভাগ। কিন্তু প্রতিবছরই সেই বনভূমি কমে আসছে। ২০২০ সালে প্রায় ৫৩ হাজার ১২৮ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। এর আগের বছর কমেছিল ৫৪ হাজার ৬১০ একর বন। অন্যান্য বছরের মতো গত বছরও বেশির ভাগ বন উজাড় হয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে, ৫১ হাজার ৮৯২ একর। গত বছর সারা দেশে ১ হাজার ১৩৬ একর আদি বন ধ্বংস হয়েছে।

দেশের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন বলেছেন, সবচেয়ে বেশি বন উজাড় হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। এটা সরকারের পর্যবেক্ষণেও উঠে এসেছে। জুমচাষ বেড়ে যাওয়ার কারণে এটা হচ্ছে।

দেশে বনভূমি কমে যাওয়ার তথ্য গত বছরের ১৯ অক্টোবরে প্রকাশ করে বন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ একর। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একর বনভূমিই বেদখল হয়ে আছে। প্রায় ৯০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে এসব জমি দখল করেছে। সবচেয়ে বেশি বনভূমি বেদখল হয়েছে কক্সবাজার জেলায়। জেলাটিতে ৫৯ হাজার ৪৭১ হাজার একর বনভূমি বেহাত হয়েছে। তবে বেদখল হওয়া বনভূমির তথ্য জানালেও কারা এসব জমি দখলে রেখেছেন, তা জানায়নি বন অধিদপ্তর।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কোনো দেশে ভূখণ্ডের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডও। কিন্তু প্রতিবছর যে হারে বনভূমি কমে যাচ্ছে, তাতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।

পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান বলেছেন, বন সংরক্ষণে সরকার ও বন অধিদপ্তরকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট গাছগাছালি সংরক্ষণের পাশাপাশি নতুন করে গাছ লাগাতে হবে। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই স্থানীয় কমিউনিটির মতামত নিয়ে করা উচিত।

সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: এপ্রিল ০২, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ