কবিতার অর্থ খোঁজা………….. ।
অনেক সময় আমাদের অনেক কবিতা বুঝা হয় না, প্রকৃত অর্থ বের করে আনতে সক্ষম হই না, অথচ একটি ছন্দ খুঁজে পাই, একটি অর্থ এসে ধরা দেয় , আবার কখনও মাথায়, ভাবনায় অনুভূতিতে একটি ছোঁয়া বা দোলা লাগিয়ে চুড়ুই পাখির মত উড়ে যায় তবে ভালো লাগা থেকে যায় মনে, ভাবনায়, অনুভূতিতে।
যিনি কবিতা লিখেন অর্থাৎ ভালো অর্থের, অনুভূতির সমন্বয় ঘটিয়ে কবিতা লিখেন নিশ্চিয় সেই কবির কাছে কবিতাটির অর্থ তার কাছে থাকে, নিশ্চয় তার পাঠকও আছে।
একটি কবিতা আমার কাছে ভালো বুঝা হয় নি বলে কবিতাটিকে আমার অর্থহীন বা জটিল না ভেবে কবিতার ভালো লাগাটাই ধরে রাখা উচিত, তবে কেউ যদি সত্য সত্যই অ-কবিতা লিখেন যা কবিতার ঐতিয্যের হ্রাস ঘটায় তার প্রতিবাদ করা উচিত।
কবিতা বুঝার ক্ষেত্রে কখনও কখনও আমার নিজেরও মাঝে মাঝে কিছু এলোমেলো ভাবনা কাজ করে, তবে নিজের ভুলটি বুঝতে পারি নিচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাগুলি কিছুটা আঁচ করতে পেরে।
” অসাধারণ বুদ্ধিমান লোকদের অনেকের সহসা নির্বোধ বলিয়া ভ্রম হইয়া থাকে । তাহার কারণ — বুঝিবার পদ্ধতিকে, বুঝিবার ক্রম-বিশিষ্ট সোপানগুলিকে অনেক বুঝা মনে করেন। এই উভয়কে তাঁহারা স্বতন্ত্র করিয়া দেখিতে পারেন না, একত্র করিয়া দেখেন । ” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
অর্থাৎ কবি তার কোন নিজস্ব ভাবনায়, তার কোন অনুভুতিতে কোন প্রকাশে তিনি কবিতাটি লিখেছেন তা আমার জানার ও বুঝার অভাব বলেই কখনও কখনও কোন কবিতা বুঝার ক্ষেত্রে নিজের ভাবনাকে এলোমেলো মনে হয়।
মন ও মনন বিকাশে, আমাদের সঠিক পথ চলার ক্ষেত্রে কবিতার যে কী ভূমিকা সেটি আমাদের সকলের জানা তাই নূতন করে কিছু যোগ করতে গেলে আমার লেখার মানকে আরও কমিয়ে দিবে, তবুও বলি সেই আদি কাল থেকে কবিতা আমাদের কাছে কখনও সূর্যের আলো যা ছাড়া আমরা অচল আবার কখনও চাঁদের আলো যা ছাড়া আমাদের মন ও মনন বিকশিত হয় না।
তারিখ: সেপ্টম্বর ১৩, ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,