তাদের সাথে তাদের অনেক কথা হয়;
কথা কেন হয় না অবিরত, খৈ ফোটার মত
অনর্গল, পাহাড় থেকে ঝর্ণা ধারা যেমন করে নেমে আসে নদীতে-
তেমন করে তোমার সাথে আমার হয় না কথা।
প্রথম কথার সুখ-লাবন্যে আলোক সজ্জায় যে ঘর করে অপেক্ষা
দাম্পত্ত জীবন যাত্রা শুরুর ক্ষণে।
শিশুর সাথে মায়ের আজব আজব ঢঙে কথা বলার মত করে
কোনদিন কি হবে না কথা বলা আর !
বাঁধা বলো, সমাজ রীতি বলো যত কান কথা বলো-
সব কি অতিক্রম করে
কথা বলার সহজ দুয়ার কি যাব না খুলে !
তাদের সাথে তাদের সব কথা বলা শেষ হলেও কি
হবে না শুরু শুধু কথা বলা একান্তে, নিভৃতে
শান্ত, নিশ্চিত পরিবেশে যেখানে দুই জনে একান্তে একাকার।
অথবা যে যাতনা ঘিরে ধরে, বিষন্নতায় সারা মন,
ঘনো কালো মেঘে শ্রাবণের আকাশের মত।
কী ত্যাগে ! কোন উপঢৌকনে ! কি বিলায়ে দিলে
সীমিত অর্জন থেকে !
কলকল কথা বলার কাব্য রচনার যে বাসনা
পূর্ণ করো, সব কথা যে জমে আছে তোমার ঠোঁটের কোণে।
তাদের মত আমরাও কথা বলি যদি কিছুটা কলঙ্কের ছোঁয়া লাগে
লোকে কান কথা বলে ! ভাঙ্গে যদি সমাজ ঘরের নীতি!
তবুও যে যাতনা যাবে মিশে, দহন যাবে নিভে
হৃদয় অন্তর তপ্ত জ্বালা শীতলায় হবে শান্ত!
নিমন্ত্রণ তোমাকে, হৃদয়ে হৃদয়ে মিলায়ে কলকল কথা বলার কাব্য রচে যাই
শান্তির দেবী, পূর্ণতার দেবী এর চেয়ে আর কিছু চাওয়ার নাই।।
তারিখঃ জুলাই ১৭, ২০১৮ (শ)
রেটিং করুনঃ ,