যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয় স্থানীয় সময় আজ সোমবার হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির কর্মীদের গতকাল রোববার মধ্যরাতের সামান্য পরে এক ই–মেইলে অফিসে না আসতে বলা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ই–মেইলের একটি কপি সংবাদমাধ্যম সিএনএনের হাতে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সংস্থার নেতৃত্বের নির্দেশনায় ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রিগ্যান ভবনে অবস্থিত ইউএসএআইডির প্রধান কার্যালয় সংস্থার কর্মীদের জন্য সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বন্ধ থাকবে। ইউএসএআইডির যেসব কর্মী সাধারণত প্রধান কার্যালয়ে কাজ করেন, তাঁরা সোমবার বাসা থেকে কাজ করবেন। তবে একান্ত প্রয়োজনে কোনো কর্মীকে কর্মস্থলে এবং ভবন রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আসতে হলে জ্যেষ্ঠ নেতৃত্ব [তাঁদের সঙ্গে] ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করবেন।’
এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সংস্থাটির জন্য সর্বশেষ অশুভ সংকেত। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কারের অংশ হিসেবে সংস্থাটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের তোপের মুখে পড়েছে। ট্রাম্প ও তাঁর মিত্ররা বলেছেন, ইউএসএআইডি অনেক বেশি পক্ষপাতদুষ্ট এবং ডেমোক্র্যাটদের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন।
আজ সোমবার সকালে এক্স স্পেসে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের লাইভ অডিও কথোপকথন) এক আলাপচারিতায় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক বলেছেন, সংস্থাটি ‘বন্ধ করতে’ ট্রাম্প সম্মত হয়েছেন। তবে কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন সংস্থাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে। বিশেষ করে সংস্থাটির তহবিল অবরুদ্ধ এবং এর কয়েকজন কর্মীকে ছুটিতে পাঠানোর পর এই ধরনের আলোচনা বাড়তে থাকে।
ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে আমি [ইউএসএআইডি নিয়ে] “কয়েকবার” কথা বলেছি। ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, তিনি সংস্থাটি বন্ধ করতে চান।’
বিশ্বের দেশে দেশে মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য প্রতিবছর সংস্থাটির জন্য শত শত কোটি ডলার বরাদ্দ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ইউএসএআইডি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি একদল উগ্র পাগলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমরা তাদের বের করে আনছি এবং তারপর আমরা এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ: ফেব্রুয়ারী ০৩, ২০২৫
রেটিং করুনঃ ,