Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

এলডিসি তালিকা থেকে মুক্ত হলে কিছু সমস্যা বাড়তে পারে (২০২১)

Share on Facebook

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হলে বাংলাদেশে চার ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এর মধ্যে রয়েছে শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা হারানো; বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুগুলো কঠিন হতে পারে; দেশের ভেতরে ব্যবসা-বাণিজ্যে অবাধ নীতিস্বাধীনতা হ্রাস এবং আইনকানুন প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হবে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ: গতিশীল উত্তরণের কৌশল’ শীর্ষক সংলাপের মূল প্রবন্ধে এই চার ধরনের প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। সিডিপির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে এখনকার মতো শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা মিলবে না। যেমন কানাডার বাজারে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এখন ভিয়েতনামকে এই শুল্ক দিয়ে কানাডার বাজারে প্রবেশ করতে হয়। তখন ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের শুল্কহার সমান হয়ে যাবে। এ ছাড়া বাণিজ্য সহযোগীদের কাছ থেকে এলডিসি হিসেবে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়, তা পাওয়া যাবে না। এখন দেশের ভেতরে নানা ধরনের ভর্তুকি, নগদ সহায়তা দেওয়ার মতো নীতি তৈরির স্বাধীনতা আছে। এলডিসি থেকে বের হলে এসব নিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাছ থেকে আপত্তি আসতে পারে। এ ছাড়া উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নানা ধরনের বাণিজ্য শর্ত মানার বাধ্যবাধকতাও আরোপিত হবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘২০২৬ সালে সকালে উঠে যেন এমন মনে না হয়, অনেক কিছুই করা হয়নি। তাহলে বিপাকে পড়তে হবে। এলডিসির তালিকা থেকে বের হওয়ার আগেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে।’

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ সংখ্যার বিচারে এলডিসি থেকে বের হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উত্তরণও লাগবে। যেমন এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য প্রতিযোগিতায় সক্ষম হতে হবে।

প্রস্তুতির অভাবের বিষয়টি তুলে ধরে রেহমান সোবহান আরও বলেন, ২০০৮ সালে ওষুধশিল্পের এপিআই পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখনো তা শেষ হয়নি। অথচ এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে স্থানীয় বাজারেও ওষুধের দাম বাড়তে পারে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের নাম সুপারিশ করেছে।

এলডিসি থেকে বের হলে চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সুযোগও তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘প্রথমেই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়বে। বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্যিক ঋণ পাব। ফলে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক জোটগুলোতে সহজেই যোগ দেওয়া যাবে।’ তাঁর মতে, এলডিসি উত্তরণকালের মধ্যে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হয়ে যাবে, যা ব্যবসায় প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হকের মতে, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এখনই কৌশল ঠিক করতে হবে এবং তা হতে হবে সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণে।

এলডিসি থেকে বের হলে অর্থায়নে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, তা তুলে ধরেন বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ । তিনি বলেন, জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ মিলবে না। এ ছাড়া সুদের হার বৃদ্ধি পেলে বিদেশি ঋণে খরচ বাড়বে। তাই পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগের অর্থ আনাকে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টমো পৌতিয়ানেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: মার্চ ০৫, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ