ভারতে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে। দেশটিতে দৈনিক করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ১৪ হাজার ৮৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ভারতে এক দিনে এত করোনা রোগী আগে কখনো শনাক্ত হয়নি। ভারতে আগের ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় যতসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, তা একটি বিশ্ব রেকর্ডও। বিশ্বের কোনো দেশে এখন পর্যন্ত এক দিনে এত রোগী আগে কখনো শনাক্ত হয়নি।
বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ডটি এত দিন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। দেশটিতে গত জানুয়ারিতে এক দিনে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রেও রেকর্ড হয়েছে। দেশটিতে এক দিনে রেকর্ডসংখ্যক ২ হাজার ১০৪ জন করোনায় মারা গেছেন। আগের দিন রেকর্ডসংখ্যক ২ হাজার ২৩ জন করোনায় মারা যান। এর আগে ভারতে গত বছরের ১৬ জুন এক দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন পিক বা চূড়ায় উপনীত হয়নি। ফলে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কবে নাগাদ নিম্নমুখী হতে পারে, সে সম্পর্কে দেশটির বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।
করোনার সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করা ভারত তার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অক্সিজেন, ওষুধ, হাসপাতালে শয্যার সংকটসহ নানা সমস্যায় দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য বড় ধরনের ধর্মীয় জমায়েত, অধিকাংশ জনসমাগম স্থান চালু করে দেওয়া, নির্বাচনী সভা-সমাবেশ শুরুর মতো বিষয়গুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ ফাতাহুদ্দিন বলেন, সতর্ক হওয়ার জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সংকেত পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু সেই সংকেত আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ফাতাহুদ্দিন বলেন, ‘আমি ফেব্রুয়ারিতেই বলেছিলাম, করোনা যায়নি। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে একটি সুনামি আঘাত হানতে পারে। দুঃখজনক হলো, সেই সুনামি সত্যিই এখন আমাদের আঘাত করেছে।’
ভারতের বর্তমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির জন্য সবাইকে দায়ী করেন এ ফাতাহুদ্দিন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবার মধ্যে স্বাভাবিকতার একটি ভ্রান্ত অনুভূতি কাজ করছিল। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা—কেউ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়নি।
রেটিং করুনঃ ,