সবার মধ্যে প্রতিভা কম-বেশি আছে তা না হলে সে মানুষ হয় না, প্রতিভার ভান্ডার কারো বড় আর কারো ছোট, পার্থক্য শুধু এইটুকুই। প্রতিভার ভান্ডার থেকে প্রতিভা ছড়িয়ে পড়ার তীব্রতা কারো অনেক বেশি আবার কারো ধীর গতির।
বইয়ে প্রত্রিকায়, চলচ্চিত্রে প্রতিভাবানদের নিয়ে অনেক কথা বর্তমান, সে সব কথা লিখে বা প্রকাশ করা আমার মত ক্ষুদে লেখকের কাজ নয়, আমার কাজ হলে আমার করণীয় প্রতিভাবানদরর নিয়ে রীতিমত গবেষণা করা।
খুব ক্ষুদ্র হলেও আমার মধ্যে কিছু প্রতিভা আছে তা না হলে আমি কোন লেখকের কোন লেখা হুবহু নকল বা অনুকরণ না করে লিখছি কী ভাবে ! আমার লক্ষ্য একজন প্রতিভাবানের তুলনায় আমার প্রতিভা হোক তাঁর চেয়ে এক কোটি ভাগের এক ভাগ। আর এক ভাগ প্রতিভাটুকু আমি লিখে প্রকাশ করে যেতে চাই, আর জানতে চাই আমার লেখার মধ্যে কতটুকু প্রতিভা লুকিয়ে আছে কিন্তু যতটুকুই লুকিয়ে থাক তা শত ভাগ প্রকাশ করার প্রত্যাশা প্রতি দিনের লেখা দিয়ে।
অনেক ধরণের বাংলায় লেখার মাধ্যমের কারণে বড় লেখার প্রতি লেখকদের লেখার প্রতি পাঠকে ঝোঁক ইদানিং কম এটি যুগের দাবির কারণে। উপন্যাস লেখার হার ইদানিং কম, আর মহাকাব্য লেখার লেখক নেই বললেই চলে সেই সাথে হারিয়ে যেতে বসেছে মহা কাব্য ও উপন্যাসের পাঠকের সংখ্যাও। আমার ধারণায় আধুনিক কবিতাও হারিয়েছে পাঠক। আমার হিসাবে বাকি থাকলো ছোট গল্প, অভিজ্ঞতা, গবেষণা ভিত্তিক লেখা এবং প্রবন্ধ ও বিবিধ ধরণের লেখা।
কোন ধরণের লেখার ধারাবাহিকতায় লিখতে পারব তা নির্ধারণ করা বেশ শক্ত বিষয় আমার পক্ষ্যে এখন, তবে মনে হয় “বিবিধ” ধরণের লেখা লিখতে পারব বলে আশা রাখি আবার ভাবি নানান ব্যস্ততার কারণে নিজেই একদিন হারিয়ে যাব কিনা ! লেখার কোন বিষয় না পেয়ে তবুও লক্ষ্য পূরণের আশাবাদ থাকবে শত ভাগ, প্রতিভাবানদের তুলনায় এক কোটি ভাগের এক ভাগ প্রতিভা প্রকাশের প্রত্যয়ে।
তারিখঃ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬
রেটিং করুনঃ ,