রবীন্দ্রনাথের সেই বিখ্যাত গানের কথা থেকে নাকি স্বাভাবিক গতিতে নিজের চলাচল শুরু হলো-
” যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।” – রবীন্দ্রনাথ।
কিছুটা অজানা, অনেকের সঙ্গ ছেড়েছি, ডাক শুনার যারা, বিপদে যাদের কাছে আসার কথা এমন মানুষের সংখ্যা কমতির দিকে। সামনের দিনগুলি বেশ অজানা, তাই ভয়ের আবির্ভাব তারপরও মনের সাহসের সঞ্চার যা এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
একা চলার বড় গুরুত্ব পূর্ণ দিকটি হলো কারও পরামর্শের প্রয়োজন পড়ে না, সমালোচনা শুনতে হয় না; তাই দমিয়ে পড়ার, ঝিমিয়ে পড়ার প্রশ্ন আসে না। স্বয়ংক্রিয় ভাবে মনে শক্তি আর আত্ম-বিশ্বাসের জন্ম দিতে থাকে। পথ চলার ফলাফল নিজের কাছে, যাচাই বাছাই করার একক ক্ষমতা। এই একক ক্ষমতাটি নির্ধারণ করে কোনটি সাফল্য বা ব্যর্থতা! তারপরে আবারও পথ চলা।
নিজের কাছে বড় বিবেচ্য বিষয় এসে দাঁড়ায় একলা চলার নীতি গ্রহন নাকি বর্জন ! এই একলা চলাতে নিজের কাছে প্রত্যয়, আত্ম-বিশ্বাস নিজের মধ্যে প্রবল ভাবে কাজ করে বলেই একলা চলাতে সাফল্য বেশি করে ধরা দেয়। একলা চলাতে থাকে সতর্কতা বেশি, বিপদে পাশে দাঁড়াবার লোকের সংখ্যা নেই বললেই চলে তখন পথ চলা শুরু হয় অনেক হিসাব-নিকাশ কষে। অন্যকে ভর করে চলার আশাটি যায় নিভে যেন একটি তার বা রশিতে একা একা হেঁটে চলা হয় কাংখিত গন্তব্যে পৌঁছানো অথবা গভীর অতলে পড়ে যাওয়া সেখান থেকে আর উপরে উঠে আসা আর হয় না।
নিশ্চয় একলা চলার পথে যারা সঙ্গি থাকে তারা সততার পরিচয়ে, আত্ম-বিশ্বাসের দ্বারা আবর্তিত তাই এই একলা চলার পথটি সাফল্য অর্জন দেখিয়েছে বেশি করে, করেছে বেশি করে বিজয়ী যদিও বিজয়ীরা নিজের জন্য কিছুই নিতে পারে না।
তারিখঃ আগষ্ট ১৬, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,