পড়ার আগে লেখা, নাকি লেখা থেকে পড়া শুরু করা, আবার এমনও হতে পারে প্রথম মানুষ পর্বত, বৃক্ষ, নদীকে পড়েছিল। ঐ গুলি পড়ার বিষয় বস্তু ছিল।
প্রথমত আমাদের একটি ভালো লেখার জায়গা দরকার। লেখার জায়গা মন্দ হলেও অসুবিধা হয় না। লেখা ভালো হলে, উন্নত হলে লেখার জায়গা কেউ বিবেচনা করে না। লেখা হয়ে থাকে অমর।
প্রাচীন কালে কিসে, কোথায় এবং কি ভাবে লেখা হত এ সবই গবেষণার বিষয়। সময় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। অনেক কিছুর ধরণ পাল্টাচ্ছে। পাল্টানো ভালো ভালো দিকগুলি, বিষয়গুলি মন ও মননে ধারণ করে মানুষ এগিয়ে চলেছে দ্রুত। আর বর্তমানকে মেনে চলাই বড় কথা।
মন্দ কিছু লিখে, উটকো ঝামেলা বাধিয়ে, ভালোর সাথে তাল না মিলিয়ে চললে দ্রুত চলা এ বিশ্বে ছিটকে পড়ার কথা। উঁচু থেকে নিচুতে পড়ার কথা।
মন্দকে আমাদের ভয় পাওয়ারও কিছু নেই । বরং মন্দ, ভালোকে চিহ্নিত করে। ভালোর মূল্যায়ন করে। বিশ্বের যা ভালো সেই ভালোকে তাঁর যোগ্য স্থানে প্রতিষ্টিত করে।
জোড়া লাগিয়ে যে লেখা, খোড়া যুক্তির যে লেখা, সেগুলি কিছুটা উপরে, সাময়িক উপরে উঠে। আবার পরে থাকে নিচে, স্থায়ীভাবে।
সমালোচনা, আলোচনা, ভালো মন্দের সামাহার, বিচার এ সবই বহু কালের। মানুষ অর্ধয্য, আবেগ তারিত হয়ে, রিপুর বশে অভিযোগ, অনুযোগ, অভিশাপ ছুঁড়ে দিয়েছে বুঝে না বুঝে কোথাও না কোথাও, সেই আদিকাল থেকে, প্রাচীন কাল থেকে। গতদিন থেকে। আজও।
গতকালে লেখা গুলি ভালো মানের ছিল না নাকি আজকের লেখার মান ভালো সে বিতর্ক সকল সময়ে চলেছে, অতীতের লেখক এক সময় হারিয়ে যায় আর আসে না ফিরে আর তাদের ফাঁকা করে রাখা জায়গাটি দখল করে নেই নূতন লেখকেরা আর নূতনরাই জন্ম দেয় একটি লৈখার ধারা তা স্থায়ি হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। ভালো লেখার ভিত্তি ধরে যে লেখা তা দাড়িয়ে থাকে বহু কাল, বার ক্ষণিক উত্তেজনা বশে যে লেখা তা হারিয়ে যায় দ্রুত।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে আমরা অনেকেই বিভক্ত বলে আমাদের মধ্যে পৃথক, ভিন্ন সত্তা কাজ করে খুব বেশি। আমাদের লেখার কলম চলে যায় অন্য ধারায়। আমরা আজ লেখার মধ্যে এক্য চাই । ভালো লাগার লেখা, ভালোবাসার লেখা। অমর পথের ধারায় যে লেখা।
কল্পনা যেখানে সৃষ্টির গোড়ার কথা, আমাদের কল্পনায়, আমদের চিন্তায়, আমাদের লেখায় এমন একটি সুউচ্চ ও মজবুত ইমারত গড়ে উঠুক যা দাঁড়িয়ে থাকে যেন অনন্ত কাল ধরে।
রেটিং করুনঃ ,