ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে। এরইমধ্যে এটি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই বন্দরগুলোতে বিপৎসংকেতও কমিয়ে আনা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা ছয়টায় টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশ উপকূল পেরিয়ে যায়। এটি দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিত্তওয়েতে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরপর স্থলভাগে আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে মোখা।
আবহাওয়া দপ্তর জানায়, মোখা বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ব্রিফিং করে। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করায় সতর্ক সংকেত নামানো হয়েছে। সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় ৩ নম্বর সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি এখন নিন্মচাপে পরিণত হওয়ার ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা থাকতে পারে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের স্বাভাবিক বাতাস থাকবে। এ কারণে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানি কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে জলোচ্ছ্বাসের কোনো আশঙ্কা নেই।
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ: মে ১৪, ২০২৩
রেটিং করুনঃ ,