Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

ইসলামী ব্যাংকের ৫০ হাজার কোটি টাকাই এস আলমের পকেটে (২০২৪)

Share on Facebook

লেখক: সানাউল্লাহ সাকিব ঢাকা।

মাত্র বছর দশেক আগেও দেশের শীর্ষ ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। আইনকানুন পরিপালন, গ্রাহককে সেবা দেওয়া ও আর্থিক সূচকে অন্য সব ব্যাংককে ছাড়িয়ে গিয়েছিল এই ব্যাংক। গ্রাহকের আস্থার কারণে স্থানীয় আমানত কিংবা বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে এটি সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। ব্যাংকটির আকার এতটাই বড় হয়ে উঠেছিল যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হতো—ইসলামী ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়লে পুরো খাতে ‘পদ্ধতিগত ঝুঁকি’ তৈরি হবে, যা রোধ করা সম্ভব হবে না।

কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে ২০১৭ সাল থেকে। ওই বছর সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইসলামী ব্যাংককে ‘জামায়াতমুক্ত’ করার উদ্যোগ হিসেবে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় সদ্য বিদায় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ। এরপর সাড়ে সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের এক–তৃতীয়াংশ। এই টাকা বের করতে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি। ঋণের যে তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, ব্যাংক থেকে পাচার করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ তার চেয়ে বেশি বলেই মনে করেন কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন
ইসলামী ব্যাংকে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিতে আহত কয়েকজন
১১ আগস্ট ২০২৪
ইসলামী ব্যাংকে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিতে আহত কয়েকজন

এই টাকা বের করা হয়েছে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী, মেয়ের স্বামী, আত্মীয়সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে। ঋণ হিসেবে অর্থ বের করতে তৈরি করা হয় নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান। আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যেভাবে টাকা বের করেছিলেন, অনেকটা একই কায়দায় ইসলামী ব্যাংক থেকেও অর্থ বের করা হয়। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধের উপক্রম, আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। পি কে হালদার ছিলেন এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন আভিভা ফাইন্যান্স ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

ইসলামী ব্যাংক থেকে পাচার হওয়া টাকা এখন আদায় করা যাচ্ছে না, ফলে ব্যাংকটি তারল্যসংকটে ভুগছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে চাহিদামতো তারল্য জমা রাখতে না পারায় প্রতিদিন জরিমানা দিচ্ছে। আবার একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদ্য সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নিজের বিশেষ ক্ষমতাবলে ‘টাকা ছাপিয়ে’ দেড় বছর ধরে ব্যাংকটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন; কিন্তু ব্যাংকটির খারাপ অবস্থার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন
ইসলামী ব্যাংকের দখল নিয়ে গোলাগুলিতে যারা জড়িত, তাদের ছাড়া হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
১১ আগস্ট ২০২৪
ইসলামী ব্যাংকের দখল নিয়ে গোলাগুলিতে যারা জড়িত, তাদের ছাড়া হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ইসলামী ব্যাংকে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে এস আলম গ্রুপ। এসব কর্মকর্তার বেশির ভাগই সাইফুল আলমের নিজের এলাকা পটিয়া উপজেলার। ফলে ব্যাংকটির অর্ধেক কর্মকর্তাই এখন পটিয়ার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই ২০১৭ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া পুরোনো কর্মকর্তারা আন্দোলন শুরু করেছেন ব্যাংকটিকে ‘এস আলম ও পটিয়ামুক্ত’ করতে। এর মধ্যে বিবদমান দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে।

বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন। এই পদে তাঁর নিয়োগসংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার আগে গতকাল সকালে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ব্যাংকটি খেয়ে ফেলার জন্য এস আলম গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারা সেই কাজই করেছে, ব্যাংকটি ধ্বংস করে দিয়েছে। আর এই ব্যাংকের টাকা ডলার হয়ে বিদেশে চলে গেছে। এখন এস আলম গ্রুপ ও যাদের নামে ঋণ বের হয়েছে, তাদের সব সম্পদ জব্দ করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এতে ঋণের এক-তৃতীয়াংশ টাকাও আদায় হবে কি না, সন্দেহ আছে।

আরও পড়ুন
এস আলমের দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে এনবিআরের ভ্যাট দাবির সিদ্ধান্তের প্রশ্নে রুল
০২ জুলাই ২০২৪
এস আলমের দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে এনবিআরের ভ্যাট দাবির সিদ্ধান্তের প্রশ্নে রুল
যেভাবে ব্যাংক দখল
সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংক কীভাবে দখল করা হয়, ২০১৭ সালে তা ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট–এ বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি গোয়েন্দা সংস্থার এ ধরনের কাজ করাটা সত্যিই অদ্ভুত। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ফোন করেন। এরপর তাঁদের বাসভবন থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসা হয় ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত সংস্থাটির সদর দপ্তরে।

দ্য ইকোনমিস্ট–এ লেখা হয়, এর কয়েক ঘণ্টা পরেই সেনা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন একটি হোটেলে বসে এক সভা করে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। পদত্যাগ করা পরিচালকদের স্থলাভিষিক্ত কারা হবেন, সেই সভায় তা ঠিক করা হয়।

আরও পড়ুন
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এস আলমমুক্ত করতে শেয়ারধারীদের মানববন্ধন
১১ আগস্ট ২০২৪

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এস আলমমুক্ত করতে শেয়ারধারীদের মানববন্ধন
নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি আরমাডা স্পিনিং মিলের প্রতিনিধি ও সাবেক আমলা আরাস্তু খানকে ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল হামিদ মিয়াকে নতুন এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক একই দিনে তা অনুমোদন করে। ওই সভাটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর র‍্যাডিসন ব্লু হোটেলে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে। প্রথম আলোর এই প্রতিনিধি সেদিন র‍্যাডিসন ব্লু হোটেলে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন। আরমাডা মূলত এস আলম গ্রুপেরই প্রতিষ্ঠান।

এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ধীরে ধীরে শেয়ার ছেড়ে দেয় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), দুবাই ইসলামী ব্যাংক, আল-রাজি গ্রুপ, কুয়েতের সরকারি ব্যাংক কুয়েত ফাইন্যান্স হাউস, সৌদি কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিস্ট এজেন্সিসহ বেশির ভাগ উদ্যোক্তা ও সাধারণ শেয়ারধারী প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া স্থানীয় জামায়াত–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ইবনে সিনা, ইসলামিক সেন্টারসহ অনেককে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ছেড়ে দিতে হয়। এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ৫২ শতাংশের মতো, যা এখন ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন
১৫ বছরে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: আগষ্ট ১৪, ২০২৪

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ