যে কোন কর্মে বড় ধরণের অনিহা আছন্ন করে ফেলেছে, কর্মই যে জীবনে অর্থ কর্মই যে জীবনের উন্নতি এই ধারণা থেকে অনেক দূরে, নিজের মধ্যে কর্ম তৎপরতার কোন লক্ষণ নেই। এটি সু-স্পষ্ট একটি বিষন্নতা, নিজের ক্ষতি জেনেও বিষন্নতা কাটিয়ে তোলার কোন লক্ষণ বিন্দু মাত্র নেই।
করোনা মহামারি নিজের মনের মধ্যে একটি প্রভাব বিস্তার করলেও তা তীব্র আকার ধারণ করার কথা নয়। যদিও প্রস্ততি ছিল প্রথম থেকে মনবল দৃঢ় রাখার, সেটি আছে হয়তো, কিন্তু নেই কাজের আনন্দ। দায়িত্বকে এড়িয়ে চলার এক প্রবল তাড়না সেই সাথে সবদিক দিয়ে নিন্ম-মূখি প্রবণতা।
দায়িত্বকে চেপে ধরে নিজেকে ঠিকিয়ে রাখার এক যুদ্ধে সক্রিয় থাকার চেষ্টা থাকবে সকলের চেয়ে বেশি তবেই ঠিকে থাকা। চলমান জীবনকে কঠিন না করে কাজের মধ্যে বিনয়ের মধ্য দিয়ে সহজ ও সরল করাই হোক সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।
নিয়মিত শরীর চর্চা, প্রফুল্ল থাকা, অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলিকে হালকা করে দেখা, প্রচুর পড়া, প্রজন্ম ও পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলা। নিজে যে খুব প্রয়োজনীয় একজন, বিশেষ বিষয়ে পারদর্শী এমনটা নিজেকে তৈরী করতে না পরলে শুধু মাত্র পিছিয়ে পড়ার দলে অথচ থাকতে হবে এগিয়ে থাকার দলে, লড়াই করার দলে। বৃথা সময় কাটানোর শাস্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করা যাবে না। বৃথা সময় কাটানো বৃথা জীবনের সূচনা করে সবার আগে।
তারিখ: এপ্রিল ২৫, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,