রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত অবসান চায় তাঁর দেশ। তবে পুতিনের অভিযোগ, কিয়েভ ও ওয়াশিংটন তাতে সাড়া দিচ্ছে না। বরং, রাশিয়াকে দুর্বল করে দিতে ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।
গতকাল বৃহস্পতিবার পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এ সংঘাতের অবসান ঘটানো। এ জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ হোক, তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আর তা যত দ্রুত হয়, ততই মঙ্গল।’
পুতিন আরও বলেন, ‘যেকোনোভাবেই হোক আলোচনার মধ্য দিয়ে সব সংঘাতের অবসান হয়। (কিয়েভে) আমাদের প্রতিপক্ষরা এটা যত দ্রুত বুঝতে পারবে, তত ভালো।’
মস্কোর সামরিক প্রধান বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার দিকে এখন নজর দিচ্ছে রুশ বাহিনী। সেখানকার বাখমুত শহরটি এখন লড়াইয়ের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মস্কোর কর্মকর্তারা বারবারই বলেছেন, তাঁরা ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে কূটনৈতিক আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য তাঁরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দায়ী করেছেন। কারণ, জেলেনস্কি বলেছেন, পুতিন ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি আলোচনায় অংশ নেবেন না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহাসিক সফর শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দেশে ফিরেছেন। মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধে তাঁর দেশকে সহায়তা করার মানে হলো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিনিয়োগ করা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে ১৮০ কোটি ডলার মূল্যের সামরিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ সহায়তার মধ্যে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থাও আছে।
পুতিন হুঁশিয়ার করে বলেছেন, এ ধরনের তৎপরতার কারণে সংঘাত আরও বেড়ে যেতে পারে।
সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,