চলমান ইউক্রেন সংকট নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ‘খোলামেলা আলোচনা’ হয়েছে। গতকাল সোমবার ভার্চ্যুয়াল এই শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেন তাঁরা। তবে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান নিয়ে ভারত তার নিরপেক্ষ অবস্থানই বজায় রেখেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে ভারতকে তার অবস্থান থেকে সরিয়ে আনতে তেমন একটা অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি।
দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা শেষে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের করা সংবাদ সম্মেলনের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্মেলন শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘সব দেশ, বিশেষত যেসব দেশের স্বার্থ রয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে পুতিনকে এই যুদ্ধের অবসানের জন্য চাপ দেওয়া দরকার। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ভাগাভাগি করে এমন দেশগুলোরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই মূল্যবোধ রক্ষার জন্য এক কণ্ঠে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।’
এএফপি বলছে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার কৌশলগত অংশীদার ভারতের কাছে বাইডেন তেমন কোনো দাবি না জানালেও ইউক্রেন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ কোনো পদক্ষেপে ভারতের যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত মেলেনি।
তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন অন্য কথা। বাইডেন-মোদির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেন সাকি বলেন, ‘বাইডেন (ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে) স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাশিয়ার জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্য আমদানি ত্বরান্বিত করা বা বাড়ানো ভারতের স্বার্থে যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।’
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি খাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা না থাকলেও দেশটি জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারত তেল আমদানি আরও বাড়ালে তাতে আপত্তি রয়েছে ওয়াশিংটনের।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: এপ্রিল ১২, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,