পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে টেলিভিশন দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই নির্দেশ দেন। বিবিসি ও সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়ে পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে থাকা ইউক্রেনের সেনাদের অস্ত্র ত্যাগ করে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেন সরকারকে রাশিয়ার মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, সম্ভাব্য যেকোনো রক্তপাতের দায় ইউক্রেন সরকারের ওপর বর্তাবে।
পুতিন বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
পুতিন বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য। আর এটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
পুতিন বলেন, সত্য ও ন্যায়ের বিষয়টি এখন রাশিয়ার দিকে। কেউ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিছু করতে চায়, তাহলে এ ক্ষেত্রে মস্কোর প্রতিক্রিয়াটা হবে তাৎক্ষণিক।
বিজ্ঞাপন
পুতিন বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় অবিলম্বে আমাদের এমন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন পড়েছে। দনবাসের স্বাধীন দুটি প্রজাতন্ত্র আমাদের কাছে সাহায্য চেয়ে অনুরোধ করেছে। জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়ের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আমি সেখানে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পুতিন যখন টেলিভিশন ভাষণে এসব কথা বলছিলেন, তখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন সংকট নিয়ে জরুরি বৈঠক করছিল।
ইউক্রেনে হামলা বন্ধে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি সামরিক সংঘাতের বদলে শান্তির পথ তৈরির জন্য একটা সুযোগ করে দিতে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দনবাস দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক, অন্যদিকে লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক।
দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ২১ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। পুতিন এই ঘোষণা দিয়ে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত এ অঞ্চল দুটিতে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক পশ্চিমা দেশ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করে। এর মধ্যে পুতিন দনবাসে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিলেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী 24, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,