কয়েক দিন পরে পরে গ্রহ নক্ষত্রদের মত পথ পরিক্রমায় দেখা হয়
কাছাকাছি আসা হয়, চাঁদের সাথেও, তেমনই
হঠাৎ করেই একটি এটিএম বুথে পাশাপাশি দাঁড়ানো
তার সাথে; যার প্রিয় নাম দিয়েছি প্রকাশিতা।
নামের অর্থ বেশ- আড়ালে প্রিয়তে অসীমের সীমানা ছাড়িয়ে
অন্য কোথাও, কোন অজানা মহা-জগতের পথে।
সে; যে আমাকে প্রকাশ করেছে অসীম আকাশে
অসীম ভূবনে অসীমের মত সীমানা ছাড়িয়ে, যে প্রকাশিতা।
এটিএম বুথে ছোট্ট একটি ঘরে এক সাথে দুই জনা এই প্রথম।
নিজ নিজ কাজ সেরে নেওয়ার ফাঁকে কিছু প্রয়োজনীয় কথা
কত দিনের সেই পুরাতন বিশ্বস্ততার প্রতিক যেন
একজনই এই আমি।
আজ কথা বলার আগ্রহ বেশি ছিল তার, প্রকাশিতা যার নাম
এতোদিন কত নত হয়ে কত করুণ হয়েছি
কথা বলতে পেরেছি প্রকাশিতার সাথে
জানি না কি ছিল এতোদিন আড়ালে !
প্রজা হয়ে থেকেছি এক বিশ্ব সম্রাজ্ঞীর কাছে
কিসের আশায় কোন মায়ায়!
কিছুটা সময় পার হতেই যতটুকু মনে পড়ে
এটিএম বুথে পাশাপাশি দাঁড়ানো সময়টা ছিল খুব খনিক ক্ষণের
অথচ এখনো মনে হয় এ এক দীর্ঘ কাল,
অনন্ত সময় ধরে প্রকাশিতার সাথে সময় কাটানো।
অতি ক্ষুদ্র হয়ে ভাবি বড় নতজানু হয়ে –
কয়েক বর্গ ফুটের এটিএম বুথটা কেন একটা
বিশাল ঘর হলো না ! হাত হাতে রেখে হেঁটে হেঁটে অনন্তের কথা বলে
দুষ্ট দৌড় দিয়ে ঘাড়ে একটি টোকা দিয়ে আবার দৌড়িয়ে
যেখানে দেখার কেউ ছিল না, সেই খানে সেই কথা বলে
চির দিনের জমে থাকা কথা বলে
কেন আমি প্রকাশ হলাম না আমার চিরদিনের প্রকাশিতার সাথে !
এ কেমন অন্তরাল! আমার চিরদিনের প্রকাশিতার সাথে
কোন খেয়ালিপনায়, কোন যাদুর টানায় অনন্ত কালের বন্দী দশায় এই আমি।
তবে কি কোন দিনও প্রকাশ হবে না! কি কথা বলতে চেয়ে চেয়ে
কথার বরফ জমিয়েছি। সেই কথা, চিরদিনের প্রিয় সত্য কথা।
প্রকাশিতা তুমি খনিক দাঁড়াও, পিছনে তাকাও, আরও অনেক পিছনে
কি প্রয়োজন আর সামনে যাওয়ার
আমাকে প্রকাশ করো তোমার মধ্যে আমার চিরদিনের চির প্রকাশিতা।।
তারিখঃ আগষ্ট ১৯, ২০১৯ (শ)
রেটিং করুনঃ ,