চলতি বছরে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জেফ বেজোস। তবে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন এখনো। মূলত মহাকাশযান–বিষয়ক ব্যবসার দিকে তিনি এখন বেশি মনোযোগ দিয়েছেন। তবে সিইও থাকা অবস্থায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বেজোসের পরামর্শ ছিল ম্যাজিকের মতো। কর্মী কতটুকু পরিশ্রম করতে পারবেন, তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা কতটুকু—এসব তো দেখেনই, সেই সঙ্গে বেজোস নতুন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে যে গুণকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে জোর দেন, তা হলো বুদ্ধিবৃত্তিক নম্রতা।
বেজোসের পর্যবেক্ষণ বলে, বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁদের বোঝাপড়া পুনর্বিবেচনা করেন। এমনকি যে সমস্যার সমাধান তাঁরা করেছেন, সেই সমাধান বারবার পুনর্বিবেচনা করেন। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন তথ্য, নতুন ধারণা, দ্বন্দ্ব ও নিজস্ব চিন্তাধারার ক্ষেত্রে তাঁরা চ্যালেঞ্জ বারবার নেন।
গবেষণায়ও দেখা গেছে, কর্মীর এই গুণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কাজে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য শেখা ও উন্নতি করার ইচ্ছা থাকতে হবে এবং মানতে হবে, সবকিছুর উত্তর সবার জানা থাকবে না। বেজোস তাঁদেরই নিয়োগ দিতে পছন্দ করেন, যাঁরা চেষ্টা করেছেন, ব্যর্থ হয়েছেন এবং তাঁদের ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যায়, সফলতার জন্য কতভাবে একজন মানুষ চেষ্টা করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক মার্ক লিয়ারি সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখেছেন, বুদ্ধিবৃত্তিক নম্রতা মানুষকে তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছাতে একটি শক্তিশালী সুবিধা দেয়। এটি তাঁকে সব সময় এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। ইনক ডটকমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্ক লিয়ারি তাঁর গবেষণায় দেখেছেন, জেফ বেজোস একদম সঠিক। বুদ্ধিবৃত্তিক নম্রতা সবচেয়ে আলোচিত বৈশিষ্ট্য না–ও হতে পারে, তবে এটি প্রায় যেকোনো ধরনের বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের একটি অপরিহার্য অগ্রদূত। তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিবৃত্তিক নম্রতা এই অর্থে যুক্তিযুক্ত যে আমরা বেশির ভাগ মতবিরোধের ক্ষেত্রে সঠিক থাকি না। প্রায়শই অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হই, যা ঠিক নয়।’
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ নভেম্বর ১৭, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,