” আমাকে তুমি দেখেছিলে ভালোর নৌকাতে
দেখ নি কী আছে আমার মন্দের কৌটাতে !!”
লাইন দুইটির কথাগুলি নিজেকে অন্যের কাছে প্রকাশের এটা একটা বড় মাধ্যম বলা যায়। আয়োতনের দিক দিয়ে নৌকা একটি বড় আধার বা পাত্র, তেমনি কৌটা একটি ছোট পাত্র, প্ররিস্ফুটিত হোক বা না হোক আমাদের মনের অজান্তে আমাদের ভালো দিক বা গুণাবলি গুলি আমাদের মনের বড় পাত্রেই থাকে।
মনে হয় স্ব-জ্ঞানে আমরা আমাদের মন্দ দিক গুলি আমাদের মনের ছোট পাত্রে রেখে দেই, বরং মনের একটি বড় জায়গা জুড়ে মন্দকে রেখে দেই না, বা রেখে দিতে কেউ চাই না, এটি আমাদের একটি সহজাত প্রবনতা। তবে আবার ভিন্ন মত বা ভিন্ন মতের মানুষও থাকে আমাদের ভালো-মন্দের এই পৃথিবীতে।
মনের মধ্যে যে ভালো গুনা বলি বৃক্ষের মত জন্ম নিয়ে যদি বড় হতে থাকে তখন আমাদের উচিত সেই বৃক্ষকে ভালো করে পরিচর্চা করা। ভালো ভালো বৃক্ষের মনের মধ্যে একটি বাগান তৈরি করা যা একটি নৌকার মত বড় আধার হয় আর মনের মধ্যে যে মন্দ দিক গুলি জন্ম নিতে থাকে তাকে আগাছা মনে করে মন থেকে তুলে ফেলার চেষ্টা করে যে টুকু মন্দ থাকে তা ছোট্ট আয়তনের একটি কৌটায় বন্দী করে রাখা।
বাইরের মানুষ বা খুব কাছের মানুষ যিনি, তিনিও যেন দেখতে পায় যে টুকু মন্দ আছে তা ছোট্ট একটি কৌটাতেই আছে। খুব কাছের মানুষ, দুরের মানুষ, যতগুলি মানুষকে পরিচয়ের বা জানার সীমানায় থাকে তাঁরা সকলে যেন দেখতে পায় আমাদের ভালো গুনা বলি, ভালো দিকগুলি যেন নৌকার মত বড় আয়োতনের মনের একটি বাগানে ভালো ভালো বৃক্ষগুলি শোভা পায়।
ভালো আমাদের যতটা সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়, মন্দ ততটাই আমাদের পিছিয়ে দেয়। ভালোকে নিয়ে চলা আমাদের নৌকাটা দিনে দিনে বড় হোক, মন্দকে রাখা আমাদের ছোট্ট কৌটাটা দিনে দিনে ছোট হতে হতে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
আমার বা আমাদের ভালোবসার মানুষের কাছে যদি শুধু মাত্র ভালো দিকগুলি প্রকাশিত হয় যেমন করে বসন্তে ফুল ফোঁটে তখন আমার বা আমাদের রাজ্য সীমানাটা ভালোতে সুখে শান্তিত ভরে যায়। মন্দ দিকগুলকে যদি আগাছার মত মন থেকে তুলে নেই তখনও আমার বা আমাদের রাজ্য সীমানাটা ভালোতে, সুখে ও শান্তিতে ভরে যায়।
তাই বলে কি কখনও প্রিয় মানুষ জানবে না আমার বা আমাদের মন্দ দিকগুলি যা রেখেছি ছোট্ট কৌটাতে !! দেখবে প্রিয় মানুষও আমার বা আমাদের মন্দ দিক গুলি দেখবে। আস্তে করে কৌটার মুখ খুলে ক্ষমার দৃষ্টিতে মন্দ দিক গুলিকে দেখবে। সত্য দেখায় দেখবে আমাকে বা আমাদেরকে যেখানে নেই কোন ভুয়া বা ভুল বর্ণনা, কোন মিথ্যা, কোন ছলনা কিম্বা কোন প্রতিশ্রুতির ভংগের সূচনা।
ভালো -মন্দের এই আবাসালয়ে আমরা যেন চলি ভালোর নৌকাতেই বড় একটি জায়গা নিয়ে একসাথে সকল সময়ে।
তারিখ: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
রেটিং করুনঃ ,
ভালো লাগল অনেক।
লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমরা যাত্রী একই তরণীর,
তাই আমাদের এই তরণীকে
সচল রাখতে সবাইকে আন্তরিকতার
সাথে গতি দিতে হবে। বেশী বেশী
লেখা দিতে হবে, পড়তে হবে এবং
সবচেয়ে জরুরী যা তা হলো মন্তব্য।
মন্তব্য করতে হবে প্রতিটি লেখায় যাতে
করে লেখক উৎসাহিত হবে আরো লিখতে।
তা না হলে পাণির অভাবে তরণী একসময়
থিমিয়ে পড়বে।
সচল রাখতে সবাইকে আন্তরিকতার
সাথে গতি দিতে হবে। বেশী বেশী
লেখা দিতে হবে, পড়তে হবে এবং
সবচেয়ে জরুরী যা তা হলো মন্তব্য।
মন্তব্য করতে হবে প্রতিটি লেখায় যাতে
কথাগুলির সাথে খূব একমত, আর এ যেন আমারই মনের কথা যা আপনি লিখে দিলেন, অনেক শুভেচ্ছা জানবেন নূরু ভাই।
ভালো আমাদের যতটা সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়, মন্দ ততটাই আমাদের পিছিয়ে দেয়। ভালোকে নিয়ে চলা আমাদের নৌকাটা দিনে দিনে বড় হোক, মন্দকে রাখা আমাদের ছোট্ট কৌটাটা দিনে দিনে ছোট হতে হতে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়।
অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধিজাত ভাবনা, ভাবনার মাঠ বড় হতে পারে এবার।
প্রাণবন্ত মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো মন্দের এমন বিশ্লেষন, সত্যই অসাধারন
যাপিতকালকে ধারন করে, জীবন যাপনের মন্ত্র যেন। :yes: :yes: :yes: :yes:
:heart: :rose:
ভালো -মন্দের এই আবাসালয়ে আমরা যেন চলি ভালোর নৌকাতেই বড় একটি জায়গা নিয়ে একসাথে সকল সময়ে।
ভালো -মন্দের এই আবাসালয়ে আমরা যেন চলি ভালোর নৌকাতেই বড় একটি জায়গা নিয়ে একসাথে সকল সময়ে।
একটি লাইনে সঠিক কথাটির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ মান্নান ভাই।
বাইরের মানুষ বা খুব কাছের মানুষ যিনি, তিনিও যেন দেখতে পায় যে টুকু মন্দ আছে তা ছোট্ট একটি কৌটাতেই আছে। খুব কাছের মানুষ, দুরের মানুষ, যতগুলি মানুষকে পরিচয়ের বা জানার সীমানায় থাকে তাঁরা সকলে যেন দেখতে পায় আমাদের ভালো গুনা বলি, ভালো দিকগুলি যেন নৌকার মত বড় আয়োতনের মনের একটি বাগানে ভালো ভালো বৃক্ষগুলি শোভা পায়।
নিজের খারাপগুলো জানা প্রয়োজন!!
যদিও তা’ অন্যের মুখে শুনতে বা জানতে খারাপ লাগে।
তবে আমি মনে করি এতে আত্মশুদ্ধি হয়!!
সবটা হয়তো হয় না, তবুও কানে বাজে,”এটা তার দোষ!”
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রব্বানী ভাই, চমৎকার এই বিষয়টি নির্বাচনের জন্য!!