আমি নিজে সঠিক অর্থে ভালো মানের লেখা লিখতে পারি না বলে নিজ আঙ্গিনায় লিখি, আর আঙ্গিনা কথা লিখতে গিয়ে প্রঙ্গন শব্দটির কথা মনে পড়ে তখনই আবার মনে পড়ে বিখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীতের লাইনগুলি।
” প্রাঙ্গনে মোর শিরিষ শাখায় ফাগুন মাসে কি উচ্ছ্বাসে
ক্লান্তিবিহীন ফুল ফোটানোর খেলা
ক্ষান্ত কুজন , শান্ত বিজন সন্ধ্যাবেলা
প্রত্যহ সেই ফুল্ল শিরিষ প্রশ্ন শুধায় আমায় দেখি
এসেছে কি? এসেছে কি?”
কবি তাঁর বিখ্যাত গানে কি খুঁজে বেড়িয়ে জানতে চেয়েছেন ” এসেছে কি ? ” তা আমার জানা নেই তবে আমারও মনে একটি প্রশ্ন ঘুরে বেড়ায় সারা ক্ষণ এসেছে কি? এসেছে কি? বলে, তা হলো নিজ লেখার প্রঙ্গনে কোন লেখার ধারণা এসেছি কি ! খুব অপেক্ষায় থাকি সারা দিন-মান। আর তখনই মনে হয় নিজে কি কোন লেখা নিজের লেখার প্রঙ্গনে বা আঙ্গিনায় পাঠিয়েছি !
লেখা পাঠাতে ভয় হয়, পাঠক মাত্রই জানেন আমার লেখার মান নেই, নয় মান সন্মত লেখা, তাই তো প্রথমেই বলেছি নিজে সঠিক অর্থে ভালো মানের লেখা লিখতে পারি না বলে চতুরের আঙ্গিনায় লিখি, না লিখলে লেখার মান হবে কি ভাবে ! শুদ্ধ বানান, শুদ্ধ ভাষার প্রয়োগ হবে কি ভাবে !! লেখাটি লিখতে গিয়ে আমাদের জাতীয় কবির বিখ্যাত একটি কবিতার কথাও মনে পড়ে গেল।
খোকার সাধ ( কাজী নজরুল ইসলাম)
” আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম-বাগে উঠব আমি ডাকি।
সূয্যিমামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে,
‘হয়নি সকাল, ঘুমো এখন’- মা বলবেন রেগে।
…………………………..
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?“- কাজী নজরুল ইসলাম।
ঠিক তেমন করে আমারও বলতে ইচ্ছা হয় – নিজে যদি না লিখি তবে কেমনে লেখার নিজ প্রঙ্গনে বা আঙ্গিনায় লেখা আসবে !!
রেটিং করুনঃ ,