আপনারা কারা, হু আর ইউ: আইজিপি এবং
তাদের নেত্রী নাকি এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা: ডিএমপি কমিশনার
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতির ওপর অবরোধ আরোপ করতে একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা লবিস্ট নিয়োগ করছেন, জিএসপি বন্ধ করতে চিঠি লিখছেন। আপনারা রাজনীতি করেন জনগণের জন্য, আবার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আপনারা কারা, হু আর ইউ? কী চান আপনারা?’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, মুজিব বর্ষ স্মারকগ্রন্থ ‘অনশ্বর পিতা’র মোড়ক উন্মোচন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষ অতিথি ছিলেন।
আইজিপি বলেন, ‘ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস হচ্ছে এই, একসময় এখানে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্য ছিল। স্বাধীন রাজ্যগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ক্রমাগত নিজেদের মধ্যে বিবাদে লিপ্ত থাকত। কথিত আছে, মেবারের রাজা রানা সিং বাবরকে ভারত আক্রমণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আহমদ শাহ আবদালিকেও ভারত থেকে এক নৃপতি ভারত আক্রমণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমরা কিন্তু দেখছি, এই ভূত এখনো যায়নি।’
আইজিপি বলেন, ‘রাজনীতি করছেন জনগণের জন্য। জিএসপি বন্ধ করে কার টুটি চেপে ধরতে চান? ২২ লাখ মহিলা শ্রমিক কাজ করেন গার্মেন্টস সেক্টরে। ৪০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি কাজ করেন এই সেক্টরে। জিএসপি বন্ধ হলে কার ক্ষতি হবে? অর্থনৈতিক অবরোধ হলে কার ক্ষতি হবে?’
পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান এবং পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মইনুর রহমান চৌধুরী, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণপদ রায় এবং গুলশানের উপকমিশনার ও পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বক্তব্য দেন।
তাদের নেত্রী নাকি এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা: ডিএমপি কমিশনার
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবির বিষয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘একটি পার্টির খুব সিনিয়র এক নেতা বলা শুরু করেছেন, তাদের নেত্রী নাকি এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা। এর চেয়ে হাস্যকর…। যাকে তার স্বামী পরিত্যক্ত করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের ওখানে কী করছ…। আর এখন সে নাকি বড় মুক্তিযোদ্ধা। আর না বলি।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, মুজিব বর্ষ স্মারকগ্রন্থ ‘অনশ্বর পিতা’র মোড়ক উন্মোচন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সেই কালরাতের প্রথম প্রহরে পুলিশ প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজারবাগে পুলিশ কনস্টেবল প্রথম গুলি ছুড়েছিল। কে তাকে উজ্জীবিত করেছিল? অথচ একটি দলের নেতারা বলেন, মানুষ নাকি দিগ্ভ্রান্ত হয়েছিল। তাহলে রাজারবাগের পুলিশ, সারা দেশের পুলিশ কীভাবে বুঝেছিল? আসলে তারা মিথ্যা কথা বলতে বলতে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যায়, যেন সেটাই (মিথ্যা) সত্য। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণার তেমন কোনো প্রয়োজন ছিল না। ৭ মার্চের ভাষণই পুলিশকে উজ্জীবিত করেছিল।
পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান এবং পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ ছাড়া অতিরিক্ত আইজিপি( প্রশাসন) মইনুর রহমান চৌধুরী, র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণপদ রায় এবং গুলশানের উপকমিশনার ও পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বক্তব্য দেন।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: মার্চ ২৬, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,