কাগজে-কলমে আলফার যুগ শেষ। আজ ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে আলফাদের সঙ্গী হবেন জেনারেশন-বিটা বা জেন-বিটা। জেন-বিটার এই পর্যায় চলবে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী ১৫ বছর ধরে যেসব শিশু জন্মাবে, তারাই জেন-বিটা নামে পরিচিতি পাবে।
২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যারা জন্মেছে, তারা জেনারেশন-আলফা। আবার ১৯৯৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাদের জন্ম, তারা জেন-জেড, যাদের আমরা জেন-জি নামে চিনি।
সোশ্যাল রিসার্চার মার্ক ম্যাকক্রিন্ডলকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় এই ধরনের ভাগাভাগি ও নামকরণের জন্য। ধারণা করা হয়, জেন-বিটার কেউ কেউ ২২ শতকের মুখ দেখবে।
ছেলেবেলা থেকেই পাবে প্রযুক্তির সাহচর্য। বিশেষ করে এআই জড়িয়ে থাকবে জেনারেশন-বিটার প্রতিদিনের কাজের সঙ্গে।
ধরা হচ্ছে, এই প্রজন্মই প্রথমবার খুব বেশি করে ব্যবহার করবে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, ওয়্যারেবল হেলথ টেকনোলজি এবং ইমার্সিভ ভার্চুয়াল এনভায়রনমেন্ট।
এত ভালো কিছুর সঙ্গে কিছু বিটার অর্থাৎ তেতো তরলও গিলতে হবে জেন-বিটাকে।
যেভাবে প্রতিদিন বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা, বাড়ছে ঝড়ঝঞ্ঝা, তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো বড় চ্যালেঞ্জ হবে এই নতুন প্রজন্মের। জৈব জ্বালানি ভুলে ভাবতে হবে দূষণহীন জ্বালানির কথা। জঙ্গল যথেচ্ছ সাফ করে যে নগরায়ণ চলছে, তার সঙ্গেও লড়তে হবে তাদের।
তবে আশার কথা হচ্ছে, আগামী দিনে চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতি হতে চলেছে। প্রযুক্তিরও অনেক উন্নতি হবে।
এরই ফলে জেনারেশন-বিটার সন্তানরা অতীতের সব প্রজন্মের চেয়ে বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : দি ইকোনমিক টাইমস
সূত্র:কালের কন্ঠ।
তারিখ: জানুয়ারী ০১, ২০২৫
রেটিং করুনঃ ,