আগস্ট মাসকে জাতীয় বিপ্লবের মাস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাত সাড়ে আটটার দিকে দলটির সভাপতি নুরুল হক সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নুরুল বলেন, ‘আমরাসহ যতগুলো রাজনৈতিক দল এই সভায় অংশ নিয়েছে, তারা পরিষ্কারভাবে বলেছে, আগস্ট জাতীয় বিপ্লবের মাস। আমরা এই আগস্টকে বিপ্লবের মাস হিসেবে উদ্যাপন করতে চাই। এটা আমাদের শোকের নয়, আমাদের সুখের ও শান্তির মাস।’
আজ সোমবার বিকেলে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টারা। এরপর জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদসহ আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক করে।
বৈঠক থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুল হক বলেন, ‘ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরাজিত সরকার একটি ম্যান্ডেটবিহীন সরকার ছিল। সেই সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো স্বাভাবিকভাবেই গণবিরোধী। আমরা ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবসসহ সরকার (শেখ হাসিনা) যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করতে বলেছি। এটা (১৫ আগস্ট) আমাদের শোকের নয়, এটা আমাদের সুখের ও শান্তির মাস।’ তিনি ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল করতে বলেছেন বলেও জানান।
নুরুল হক দাবি করেন, আওয়ামী ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি’ ১৫ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে ঢাকায় একটা তাণ্ডব চালানোর মহাপরিকল্পনা নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি তাঁরাও জনতার মঞ্চ গঠন করে ঢাকাসহ সারা দেশে অবস্থান নেবেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার পর কোনোভাবেই একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে সাংগঠনিক কাঠামো রাখতে পারে না। রাশেদ খান আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে চাকরি দিতেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে গণ অধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: আগষ্ট ১২, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,