শৈশবে আওরঙ্গজেবের শিক্ষাগুরু মোল্লা শাহ ছিলেন আফগানিস্তানের বাদাখশানের বাসিন্দা। সম্রাট শাহজাহান তাঁকে বিশেষ শ্রদ্ধা করতেন এবং প্রথমে দারা শুকো ও পরে আওরঙ্গজেবকেও তিনি শিক্ষা দিয়েছিলেন। ফরাসি পর্যটক বার্নিয়ের তাঁর লেখনীতে আওরঙ্গজেব মোল্লা শাহের ঘটনাটি বর্ণনা করে গিয়েছেন।
বার্নিয়ের লিখিত ভ্রমণ বৃত্তান্ত কে ভারতে মুঘল শাসনের একটি ঐতিহাসিক আকরগ্রন্থ বলা হয়। বার্নিয়ের খুব কাছ থেকে উত্তরাধিকার যুদ্ধ থেকে শুরু করে শাহজাহানের পুত্রদের অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছিলেন, তাই বর্ণনা ও বিশ্লেষণ কে নিখুঁত বলা চলে, এবং সকল ঐতিহাসিক ও গবেষকই এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেন।বর্নিয়ের ১৬৫৮ সালের শেষের দিকে বা ১৬৫৯ সালের গোড়ার দিকে সুরাটে এসে উপস্থিত হন। ভারতের সম্রাট তখন শাহজাহান। কিন্তু তখন উত্তরাধিকার যুদ্ধ চলছিল। বার্নিয়ের যখন ভারতে উপস্থিত হয়েছেন তখন, আজমিরের কাছে দারার সাথে আওরঙ্গজেবের সেনাদলের যুদ্ধ চলছে। ১৬৫৯ সালের ১২ই/১৩ই মার্চ বার্নিয়ের যখন সুরাট থেকে আগ্রার দিকে যাচ্ছিলেন, দারার সাথে তাঁর সাক্ষাৎ ও পরিচয় ঘটে।বার্নিয়ের কোনও সাধারণ পর্যটক বা সৌখিন ট্যুরিস্ট ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক-পর্যটক এবং তাঁর সমকালীন অন্যান্য পর্যটকদের দেখার সাথে তাঁর দেখার বা দৃষ্টিভঙ্গির একটা বিরাট পার্থক্য রয়েছে, সেগুলো তাঁর লেখা পড়লেই স্পষ্ট করে বোঝা যায়। দারা তাকে পছন্দ করেছিলেন এবং তাঁকে সঙ্গে নিয়েছিলেন।যদি উত্তরাধিকার যুদ্ধে দারা বিজয়ী হতেন তাহলে হয়তো দারা ও বার্নিয়ের এর সম্পর্ক ইতিহাসে নতুন এক মাত্রা যোগ করতে পারতো।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দারা তখন আওরঙ্গজেবের হাতে যুদ্ধে পর্যদস্তু হয়ে সিন্ধুর দিকে পলায়ন করছিলেন। বর্নিয়ের পলাতক দারার সাথেই যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে তাঁর যানটি বিকল ও অচল হয়ে যায়। দারার পক্ষে অপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না আর দারাও চাননি তার অনিশ্চিত ভাগ্যের সাথে অযথা এক বিদেশীকে জড়াতে।তাই তিনি তাঁর বিদেশি বন্ধুর থেকে সেখানেই বিদায় নেন।পথে চোর-ডাকাতদের হাতে পড়ে বার্নিয়ের নির্যাতিত ও লুন্ঠিত হন। কোনও মতে তিনি নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে আহমেদাবাদে আসেন। সেখানে দিল্লীগামী এক সম্ভ্রান্ত আমিরের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তাঁর সঙ্গে তিনি দিল্লী যাত্রা করেন। দিল্লী পৌঁছে নিজের আর্থিক দুরবস্থার জন্য তিনি সম্রাট ঔরঙ্গজেবের অধীনে গৃহচিকিৎসকের চাকরি নিতে বাধ্য হন। কিছুদিন তিনি তৎকালীন মুঘল সাম্রাজ্যের প্রভাবশালী ওমরাহ দানেশমন্দ খাঁ’র অধিনেও চাকরি করেছিলেন। তাঁর সান্নিধ্য ও অন্তরঙ্গতা লাভ করেই বর্নিয়ে মুঘল রাজদরবার ও বংশের অনেক গোপন কথা, আদব-কায়দা ইত্যাদি জানতে পেরেছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের কাশ্মীর অভিযানের সময়ে বর্নিয়ের তাঁর সাথে ছিলেন। বার্নিয়ের ভারতে ছিলেন ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত। তিনি যখন মিসলিপত্তনম ও গোলকুন্ডা তে ছিলেন তখন তিনি শাহজাহানের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলেন।বার্নিয়ের তাঁর লেখায় নিখুঁতভাবে সম্রাট শাহজাহান ও তাঁর পুত্র-কন্যাদের চরিত্র বর্ণন করে গিয়েছেন। শাহজাহানের সকল পুত্রদের মধ্যে আওরঙ্গজেব ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দারাশুকোর ন্যায় তাঁর বাইরের চরিত্রে কোনও মাজাঘষা চাকচিক্য ছিল না, কিন্তু তাঁর বিচারবুদ্ধি ছিল অসাধারণ। কতবার যে তিনি রাজদরবারে ও ভাইদের কাছে ধনদৌলত, রাজ ঐশ্বর্য্যের প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত বীতরাগ ও বৈরাগ্যের ভাণ করেছেন এবং গোপনে সিংহাসন দখল করার ষড়যন্ত্র করেছেন, তার কোনও হিসেব নেই। ছলাকলা, কূটবুদ্ধি, রাজনৈতিক বুদ্ধিতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ ছিল না। যখন তাঁকে দক্ষিণাত্যের সুবেদার নিযুক্ত করা হয়, তখনও তিনি সকলের কাছে বলতেন যে প্রাদেশিক সুবেদারী তে তিনি খুশি নন, তাঁর দিল চায় ফকির হতে, দরবেশ হতে। সুবাদারীর ঝকমারি তাঁর পোষায় না, তাঁর বিবাগী মেজাজের সঙ্গে খাপ খায় না। অথচ তৎকালীন সময়ে যে সকল বিদেশি পর্যটক ভারত ভ্রমণে এসে তাঁকে কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন, তাঁরা সকলেই দেখেছিলেন যে তাঁর জীবন ঠিক এর উল্টোপথ ও নীতি ধরে আগাগোড়া চলেছে। একটার পর একটা চক্রান্ত না করে তিনি যেন স্বস্তিতেই থাকতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর সেই চক্রান্তগুলোর ওপরে এমন একটা বৈরাগ্যের মুখোশ লাগানো থাকত যে একমাত্র দারা ছাড়া বোধহয় অন্য কেউ আর তাঁর এই দুরভিসন্ধির কথা জানতেন না। তাঁর বাইরের বেশ ছিল ফকির-দরবেশের আলখাল্লা, আর ভেতরের মন ছিল কুচক্রী মতলব-বাজের। এই ছিলেন সম্রাট শাহজাহানের তৃতীয় পুত্র আওরঙ্গজেব। তবে এটাও ঠিক যে সুজার ন্যায় তাঁর পানাসক্তি ও কোনও ইন্দ্রিয়দোষ ছিল না। বার্নিয়ের তাঁর লেখনী তে উল্লেখ করেছেন যে, আওরঙ্গজেবের প্রকৃতি সম্বন্ধে শাহজাহানের কোনও উচ্চধারণা ছিল না। দারা সেইজন্য তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধুদের কাছে প্রায়ই বলতেন যে, তাঁর সব ভাইদের মধ্যে ঐ ‘নামাজী’ ভাইটিকে নিয়েই তাঁর দুশ্চিন্তা সবচেয়ে বেশি।
আওরঙ্গজেব যখন মুঘল তখতে বসেন তখন মোল্লা শাহ নিতান্তই বৃদ্ধ হয়েছিলেন। এই বৃদ্ধ শিক্ষক কে শাহজাহান কিছু সম্পত্তি দান করেছিলেন এবং তিনি বৃদ্ধ বয়সে বাদাখশানে নিজের অবসর-জীবন যাপন করছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য ও সিংহাসনের দখল নিয়ে গৃহযুদ্ধের খবর পান ও জানতে পারেন যে তাঁর প্রাক্তন ছাত্র আওরঙ্গজেব সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। খবর পেয়ে তিনি তড়িঘড়ি দিল্লী চলে আসেন।মোল্লা শাহ তিন মাস দিল্লীতে থাকার পরে ঔরঙ্গজেব জানতে পারেন যে তিনি এসেছেন। কিন্তু আওরঙ্গজেব তাঁদ সাথে দরবারে দেখা করেননি।বার্নিয়ের আওরঙ্গজেব ও মোল্লা শাহের সাক্ষাৎকারের তথ্যগুলো পেয়েছিলেন দানেশমন্দ খাঁ’র কাছ থেকে।আওরঙ্গজেব কোন প্রকার বিনয় না দেখিয়ে সরাসরি শুরু করলেন এবং বলেন, “তারপর মোল্লাজী, আপনার মনোবাঞ্ছা কি? আমার সাথে মোলাকাৎ করার কি উদ্দেশ্য আপনার? আপনি কি চান যে আমি আপনাকে ওমরাহের পদমর্যাদা দিয়ে আমার গুরুদক্ষিণা পরিশোধ করব? আমি আপনাকে শ্রেষ্ঠ রাজকীয় সম্মানে ভূষিত করতেও কুন্ঠিত হতাম না, যদি বুঝতাম যে বাল্যকালে আপনি আমাকে এমন শিক্ষা দিয়েছেন যা আজ আমার জীবনে মূল্যবান সম্পদ হয়েছে। হে গুরুদেব! বলতে পারেন, আপনার কাছ থেকে আমি কি শিক্ষা পেয়েছি? আপনি আমাকে শিখিয়েছিলেন যে ‘ফিরিঙ্গীস্থান’ সামান্য একটা দ্বীপ ভিন্ন কিছু নয় এবং সেই দ্বীপের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজা হলেন পর্তুগালের রাজা, তারপর হল্যান্ডের রাজা ও শেষে ইংল্যান্ডের রাজা। ফিরিঙ্গীস্থানের অন্যান্য রাজাদের সম্বন্ধে আপনি বলেছিলেন যে তাঁরা আমাদের হিন্দুস্তানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের নৃপতিদের মতন এবং হিন্দুস্তানের শক্তি ও সমৃদ্ধির সঙ্গে অন্য কোনো দেশের তুলনাই হয় না। হিন্দুস্তানের সম্রাটরাও তাঁদের তুলনায় এত বড় যে ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান – এঁদের সমতুল্য কোনো রাজা ফিরিঙ্গীস্থানে নেই। হে ভৌগোলিক! হে ইতিহাসবিশারদ! আপনি কি আমাকে পৃথিবীর প্রত্যেক দেশ, প্রত্যেক জাতি সম্বন্ধে কিছু শিক্ষা দিয়েছিলেন? আপনি কি বলেছিলেন আমাকে তাঁদের অর্থ-সামর্থ্য, আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি, ধর্ম-কর্ম, যুদ্ধ-বিগ্রহ সম্বন্ধে কোনো কথা? আপনি কি আমাকে জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রের উন্নতি ও অবনতি হয় কেন, কেন দেশে দেশে যুগে যুগে সামাজিক ও রাষ্ট্রিক বিদ্রোহ বা বিপ্লব হয়? আপনি আমাকে কিছুই বলেন নি, কিছুই শিক্ষা দেন নি। এসব কথা নাহয় ছেড়েই দিলাম। আপনি তো আমার পূর্বপুরুষ, যাঁরা এই বিরাট মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা, তাঁদের নাম পর্যন্ত বলেন নি। আমি কিছুই জানতাম না তাঁদের সম্বন্ধে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ভাষাও কিছু-কিছু প্রত্যেক সম্রাটের জানা কর্তব্য। আপনি আমাকে আরবী পড়তে ও লিখতে শিখিয়েছেন, আর কোনো ভাষা শেখাবার প্রয়োজনবোধ করেন নি। এমন একটি ভাষা আপনি আমাকে শিখিয়েছিলেন, যা সামান্য আয়ত্ব করতেও যে কোনো বুদ্ধিমান লোকের অন্ততঃ দশ-বারো বছর সময় লাগে। এইভাবে শুধু একটা জরদগব ভাষা শিখিয়ে আপনি আমার মূল্যবান কৈশোর ও যৌবনকাল নষ্ট করে দিয়েছেন। আরবী লিখতে পড়তে শিখেছি, আরবী ব্যাকরণ শিখেছি, জীবনে আর কিছু শিখিনি আপনার কাছে!”
এই ভাষায় সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁর শিক্ষককে সম্বোধন করেছিলেন। তবে তিনি এসব বলেই ক্ষান্ত হন নি। তিনি আরো বলেনঃ”আপনি কি জানেন না,যে বাল্যকালই হল জীবনের শ্রেষ্ঠ কাল। তখন আপনার শিক্ষা দেবার সুবর্ণ সুযোগ ছিল। আপনি আমাকে আরবীর মাধ্যমে প্রার্থণা করতে শিখিয়েছেন, আইনশাস্ত্র, বিজ্ঞান ইত্যাদি শিখিয়েছেন। নিজের মাতৃভাষায় যে কোন বিষয় কি আরও সহজে, আরও অনেক ভালোভাবে শেখানো যায় না, মোল্লাজী? আপনি আমার পিতাকে বলেছিলেন যে আপনি আমাকে দর্শনশাস্ত্র শিক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু আমি তো জানি, কি শিখিয়েছেন আপনি আমাকে? কতগুলো দুর্জ্ঞেয় সূত্র, তার চেয়েও দুর্বোধ্য ভাষায় আপনি আমার মগজে জোর করে ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিলেন। কি মূল্য আছে তার বাস্তব জীবনে?”
মোল্লা শাহ চুপ করে এই কথাগুলো শুনেছিলেন। আওরঙ্গজেব একটুও উত্তেজিত না হয়ে, অত্যন্ত ধীর, শান্ত ও সংযত হয়ে কথাগুলো বলেছিলেন।”আপনি আমাকে রাজকর্তব্যও শিক্ষা দেন নি। রাজপুত্র যে একদিন রাজসিংহাসনে বসতে পারে, একথা আপনার খেয়াল হয় নি। হিন্দুস্তানের রাজাদের এটা একটা চরম দুর্ভাগ্য, তাঁরা কোনোদিনই সত্যিকারের গুরুর কাছে উপযুক্ত শিক্ষা পান নি ও পান না। আপনি তো আমাকে যুদ্ধবিদ্যাও শিক্ষা দেন নি। যাই হোক, আমার ভাগ্য ভাল যে আপনার মতন বিজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া, আমি আরও কয়েকজনের কাছে শিক্ষা পেয়েছিলাম। তা না হলে আমার পরিণাম যে কি হত তা ভাবতেও আমার ভয় হয়। অতএব, হে সুধীপ্রধান! আপনি স্বগ্রামে অনুগ্রহ করে ফিরে যান। আপনি কে এবং আপনি কেমন আছেন, তা কারও জানার দরকার নেই।”
সম্রাট আওরঙ্গজেবের চরিত্রের এই দৃঢ়তা ও স্পষ্টবাদীতা বাস্তবিকই অসাধারণ। সাধারণ ইতিহাসের বই থেকে তাঁর চরিত্রের এই দিকটার কথা কিছুই জানা যায় না। ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে সাধারণতঃ আওরঙ্গজেবের চরিত্র যেভাবে চিত্রিত করা হয়ে থাকে, তার সাথে বর্নিয়ের বর্ণিত চরিত্র-চিত্রের কোনো মিল হয় না। রাষ্ট্রীয় পরিবেশের চাপে অনেক সময় অনেক সম্রাট কে এমন কাজ করতে বাধ্য হতে হয়, যা দিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত চরিত্র ঠিক যাচাই করা যায় না বা বোঝা যায় না। সম্রাটদের শিক্ষাদীক্ষা, আচার-ব্যবহার ইত্যাদি সম্বন্ধে আওরঙ্গজেব যেভাবে সমালোচনা করেছেন, নিজে সম্রাট হয়েও, তার সত্যিই তুলনা হয় না। সম্রাটের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বন্ধে তাঁর মন্তব্যও ছিল প্রশংসনীয়। বেশ বোঝা যায়, বাইরের সম্রাট আওরঙ্গজেব ও ভেতরের মানুষ আওরঙ্গজেবের মধ্যে বরাবরই একটা পার্থক্য ছিল, যা তাঁর অন্তরঙ্গ দু’চারজন ছাড়া আর কারও চোখে পড়ে নি।
সূত্র: সংগৃহিত।
তথ্যসূত্রঃ
১/ বাদশাহী আমল, বিনয় ঘোষ,প্রকাশ ভবন,কোলকাতা,(পৃষ্ঠাঃ২০-২৬,৪০-৪৪)।
২/ শাহজাদা দারাশুকো,শ্যামল গংগোপাধ্যায়,দে’জ পাবলিসার্চ,কোলকাতা,১৯৯১,(পৃষ্ঠাঃ৫২২,৬৩৩,৬৩৪)।
৩/ এ শর্ট হিস্ট্রি অফ আওরঙ্গজেব, স্যার যদুনাথ সরকার, ঐতিহ্য প্রকাশন,ঢাকা,(পৃষ্ঠাঃ১৮২,১৮৩)।
৪/ মুঘল সম্রাজ্যের সোনালী অধ্যায়,সাহাদাত হোসেন খান, আফসার ব্রাদার্স,ঢাকা,২০১৩,(পৃষ্ঠাঃ ৫৪৩)।
৫/ মোঘলশাহি, এ কে এন নুরুল হক,ঐতিহ্য প্রকাশন,ঢাকা,২০১৫,(পৃষ্ঠাঃ১৮৬-১৮৮)।
তারিখ: ফেব্রুয়ারী ০২, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,