” অর্ধেক নগরী তুমি অর্ধেক কল্পনা’” – অন্নদাশঙ্কর রায়।
” তেলের শিশি ভাঙল বলে
খুকুর পরে রাগ করো” – অন্নদাশঙ্কর রায়।
আজ ( ২৮ অক্টোবর) উনিশ শতকের বাঙালি রেনেসাঁ ঐতিহ্যের শেষ বুদ্ধিজীবী হিসেবে অভিহিত স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক অন্নদাশঙ্কর রায়ের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আমাদের অনেক অনেক শ্রদ্ধা।
অন্নদাশঙ্কর রায় ১৯০৪ সালের ১৫ মার্চ ব্রিটিশ ভারতে বর্তমান উড়িষ্যার ঢেঙ্কানলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নিমাইচরণ রায় এবং মাতা হেমনলিনী। পিতা নিমা্ই চরণ ছিলেন ঢেঙ্কানল রাজ স্টেটের কর্মী এবং মা কটকের প্রসিদ্ধ পালিত বংশের কন্যা। অন্নদাশঙ্করের শিক্ষাজীবনের শুরু হয় ঢেঙ্কানলে। ১৯২১ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
সাহিত্যের সব শাখায় তার অবাধ বিচরণ থাকলেও তিনি ছড়াকার হিসেবে বেশি পরিচিত। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অন্নদাশঙ্কর রায় ২০ বছর বয়সে ওড়িয়া সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বাংলা, ইংরেজি, ওড়িয়া, সংস্কৃত, হিন্দি-সব ভাষায় পারদর্শী হলেও বাংলাকেই তিনি সাহিত্যচর্চার মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন।
২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর কলকাতায় পরলোকগমন করেন অবিভাজ্য বাঙালি অন্নদাশংকর রায়। বাঙালির দেশ বাংলা দেশ ভাগ হবার পরও যিনি ভাগ হন নি। দেশবিভাগ জনিত বেদনা তীর্যকভাবে প্রকাশ পেয়েছে তার ‘খোকা ও খুকু’ (১৯৪৭) ছড়ায়-
‘তেলের শিশি ভাঙল বলে
খুকুর পরে রাগ করো,
তোমরা যে সব বুড়ো খোকা
ভারত ভেঙে ভাগ করো।
তার বেলা?’
ভ্রমণের ছিল তাঁর বড় নেশা শীল্প- সাহিত্যের নগরী দেখে প্যারিস দেখে তিনি তাঁর বিখ্যাত উক্তি দিয়ে পুরো প্যারিসকে অংকন করেছেন একটি মাত্র লাইনে ” অর্ধেক নগরী তুমি অর্ধেক কল্পনা”
আবারও ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, চিন্তাবিদ অন্নদাশঙ্কর রায়ের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের অনেক অনেক শ্রদ্ধা ।
তারিখ: অক্টোবর ২৮, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,