লেখক: মাসুদ মিলাদ।
অর্থনীতির গেম চেঞ্জার-১০
ইস্পাতশিল্পের যত পরিবর্তন তাঁর হাত দিয়েই
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য এখন অর্থনীতিতে। ৫০ বছরে বাংলাদেশ নামের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হয়ে উঠেছে চমকেভরা জাদুর বাক্স। সাহায্যনির্ভর বাংলাদেশ এখন বাণিজ্যনির্ভর দেশে পরিণত। তবে যাত্রাপথটা সহজ ছিল না। বড় বড় ঝুঁকি নিয়ে অভিনব পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আমাদের সাহসী উদ্যোক্তারা। এই সাফল্যের পেছনে আরও যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অর্থনীতিবিদের পাশাপাশি আছেন নীতিনির্ধারকেরাও। মূলত অর্থনীতির এসব অগ্রনায়ক, পথরচয়িতা ও স্বপ্নদ্রষ্টারাই ৫০ বছরে বিশ্বে বাংলাদেশকে বসিয়েছেন মর্যাদার আসনে।
আমরা বেছে নিয়েছি সেই নায়কদের মধ্যে ৫০ জনকে। আমাদের কাছে তাঁরাই অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’।
রুশ অর্থনীতিবিদ এস এস বারানভ স্বাধীনতার আগে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতিতে পশ্চিম পাকিস্তানি বাণিজ্য-শিল্পপুঁজির অনুপ্রবেশের ইতিহাসকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যেমন ১৯৬০ সালের আগে ও পরে। তিনি লিখেছিলেন, প্রধানত পুঁজি আমদানি এবং কারখানা নির্মাণের মাধ্যমেই পঞ্চাশের দশকে এ প্রদেশে অবাঙালি পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটে। আর ষাটের দশকে তা আরও সংহত হয়। বেশ কিছু গ্রুপ ও সম্প্রদায় এ সময় ব্যবসা-বাণিজ্যে শক্ত অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছিল।
পূর্ব বাংলা অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৈশিষ্ট্য (১৯৪৭-১৯৭১) গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ষাটের দশকের শেষ দিকে পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসকারী কিছু কিছু পরিবার বড় শিল্পপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। এস এস বারানভ তাদের বিস্তারিত পরিচয়ও দিয়েছেন। তাদের মধ্যে পঞ্চম গ্রুপভুক্ত করেছিলেন আকবর আলী আফ্রিকাওয়ালাকে। এ গ্রুপের ছয়টি কোম্পানির মালিক ছিলেন তাহেরালী আলীভাই, আবদুল হোসেন আলীভাই ও আকবর আলী আলীভাই।
৫০ বছরের অর্থনীতির পথরচয়িতা হিসেবে আমাদের আজকের উদ্যোক্তা আকবরআলী আফ্রিকাওয়ালা পরিবার। তিনি বেঁচে নেই। শুরুটা তিনিই করেছিলেন। আর তা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাঁরই পুত্র আলীহোসাইন আকবরআলী। তাঁকেই এখন বলা হয় বাংলাদেশের ইস্পাতশিল্পের গুরু। এ দেশের লৌহ ও ইস্পাতশিল্পের যুগান্তকারী সব পরিবর্তন এসেছে তাঁর হাত ধরেই। বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসের (বিএসআরএম) চেয়ারম্যান তিনি। বাংলাদেশে এখন এমন কোনো বড় ধরনের প্রকল্প নেই, যেখানে বিএসআরএমের রড ব্যবহৃত হচ্ছে না। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, উড়ালসড়ক, কর্ণফুলী টানেলের মতো বড় প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে বিএসআরএমের রড।
এ দেশের লৌহ ও ইস্পাতশিল্পের যুগান্তকারী সব পরিবর্তনই এসেছে আলীহোসাইন আকবরআলীর হাত ধরে। ১৯৮৪ সালে উচ্চশক্তির ‘কোল্ড-টুইস্ট স্টিল রড’ দিয়ে ইস্পাতশিল্পে পণ্যের বৈচিত্র্য শুরু হয় তাঁর হাত ধরে। এরপর ৬০ গ্রেডের রড জনপ্রিয় করেন। আর ২০০৮ সাল থেকে তো ইস্পাত খাতে একের পর এক উচ্চশক্তির রড তৈরিতে যেন বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তাঁর দেখানো পথ ধরে অন্যরা উচ্চশক্তির রড বাজারজাত করেছে। ইস্পাতশিল্পের ইতিহাস ও বিকাশ—দুটোতেই বারবার উঠে এসেছে তাঁর নাম।
নিজের কথা
আলীহোসাইন আকবরআলী নিজের কথা বলেছেন প্রথম আলোর কাছেই। সেসব ছাপাও হয়েছে একাধিকবার। তিনি জানিয়েছিলেন, সবে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি শেষ করেছেন। হাতে ছিল সৌদি আরবের সরকারি তেল কোম্পানি আরামকোতে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রস্তাব। পরিবারের ব্যবসা তখন ইস্পাত খাতে। ব্যবসা না চাকরি—কোনটাতে থিতু হবেন, এই চিন্তায় শেষমেশ পরামর্শ চাইলেন বাবার কাছে। বাবা জীবনের চাবি তুলে দিলেন তাঁর হাতে, ‘তুমি জীবনের যেকোনো সময় চাইলে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে পারবে, তবে ব্যবসায় থাকলে যে অভিজ্ঞতা হবে, তা জীবনে কখনো অর্জন করতে পারবে না।’
বাবার এই কথায় ১৯৭২ সালে মাসিক ২৫ হাজার রুপির চাকরির প্রস্তাব ফেলে আলীহোসাইন আকবরআলী যোগ দিয়েছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। শুধু যোগই দেননি, নিজের অক্লান্ত শ্রমে বাবা-চাচাদের হাতে গড়া ইস্পাত কারখানাকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। হিসাববিদ্যায় পড়াশোনা করেও এ দেশের প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠান ইস্পাতশিল্পের গুরু হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন।
এ দেশে ইস্পাতের ইতিহাস শুরু হয়েছে ৬৮ বছর আগে, ১৯৫২ সালে। চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার কারখানায় আজকের বিএসআরএম গ্রুপের যাত্রা শুরুর সময়টাও একই। এই খাতে প্রথমে নেতৃত্ব দেন তাঁর বাবা আকবরআলী আফ্রিকাওয়ালা। এরপর হাল ধরেন তিনি। এই সোনালি সময়টাও প্রায় ৪৩ বছরের।
আলীহোসাইনের পরিবারের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ভারতের গুজরাটের আম্রেলি জেলায়। গুজরাট প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের শহর। ব্যবসার প্রয়োজনে গুজরাটিরা সুরাট বন্দর দিয়েই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছেন নানা সময়। মহামন্দার সময় সুরাট বন্দর দিয়ে জাহাজে চেপে গুজরাটের বহু বণিক ছড়িয়ে পড়েন কেনিয়া, উগান্ডা, মাদাগাস্কারের মতো দেশে। এই দলে ছিলেন দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের আলীহোসেইনের দাদা আলীভাই খানভাই। ১৯২৯ সালে আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কারে গিয়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। বছর পাঁচেক পর আবার ফিরে আসেন গুজরাটে। চলতে থাকে ব্যবসা।
দেশভাগের সময় আলীহোসাইনের বাবা ব্যবসার কাজে ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে। এবার নতুন ব্যবসায় হাতেখড়ি। আলীহোসাইন আকবরআলী বললেন, ‘ঢাকার বেঙ্গল স্টিল থেকে বিমানে স্ক্রু নিয়ে করাচিতে বিক্রি করতেন বাবা। ১৯৫০ সালে তিনি বেড়াতে এলেন চট্টগ্রামে। এখানকার লৌহসমৃদ্ধ পানির স্বাদ ভালো লাগল তাঁর। চট্টগ্রামে জুবিলী রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা সম্প্রসারণ করলেন। বাণিজ্য থেকে লাভ হলো অনেক। লাভের টাকায় শিল্প গড়ার দিকে মনোযোগ দিলেন। যে লোহার পেরেকের বাণিজ্য করেছেন, তা-ই উৎপাদনের কারখানা দিলেন।
বিএসআরএমের শুরুর গল্প
দেশভাগের সময় পূর্ব পাকিস্তানে রড তৈরির কোনো কারখানা ছিল না। এ সময় বাংলার ১৮টি কারখানাই পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। তখনই চট্টগ্রামে ইস্পাতের মতো মাতৃশিল্প নির্মাণের পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর বাবার। তাঁর চাচা তাহেরালী আফ্রিকাওয়ালা গেলেন কলকাতায়। কারখানা নির্মাণের জন্য কলকাতা থেকে একজন দক্ষ কারিগর আনা হলো। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আনা হলো দক্ষ শ্রমিক। ১৯৫২ সালে নাসিরাবাদে নির্মাণ করা হলো রড তৈরির কারখানা ‘ইস্ট বেঙ্গল রি-রোলিং মিলস’। ইস্পাত শিল্পের ইতিহাসও শুরু হলো।
চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা
ইস্পাত কারখানা চালুর তিন বছর আগে ভারতের গুজরাটের আম্রেলি জেলায় জন্ম হয় আলীহোসাইন আকবরআলীর। গুজরাটে জন্ম হলেও স্কুল-কলেজের পড়াশোনা চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় সেন্ট প্লাসিডস স্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। আগ্রাবাদের সরকারি কমার্স কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন।
উচ্চমাধ্যমিকে কুমিল্লা বোর্ডে মেধাতালিকায় নবম স্থান অধিকার করেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের করাচি চলে যান। সেখানে এসএম কলেজে সন্ধ্যাকালীন বিকম কোর্সে ভর্তি হন। আর দিনে করাচিতে এএফ ফারগুসানে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি (সিএ) কোর্স করেন। ১৯৭২ সালেই কোর্স শেষ করেন। আকবরআলী আফ্রিকাওয়ালার তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট তিনি।
নতুন করে শুরু
উচ্চ বেতনের চাকরির প্রস্তাব পেয়েও গেলেন না সৌদি আরবে। বাবার অনুপ্রেরণায় করাচিতে চাচার সঙ্গে ইস্পাত পণ্যের ব্যবসায় যুক্ত হন। অভিজ্ঞতা অর্জনের পর ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম ফিরে বিএসআরএম কারখানায় যোগ দেন।
আলীহোসাইন আকবরআলী বলেন, ‘বাবা সব সময় বলতেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে যেতে পারো, কিন্তু চট্টগ্রামের মতো শান্তি বিশ্বের কোথাও পাবে না। এখানে সংস্কৃতির সমস্যা নেই। লোকজন ভদ্র। ধার্মিক। সবচেয়ে বড় কথা, এখানে বিনিয়োগের জন্য সবই আছে।’
কারখানায় যোগ দিয়ে তিনি দেখলেন, ইস্পাত খাতে বিনিয়োগের জন্য বন্দর–সুবিধা, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি—সবই আছে চট্টগ্রামে। শুরু হলো বাবার সঙ্গে কারখানায় অভিজ্ঞতা নেওয়ার পালা। খুব দ্রুত দক্ষতা অর্জন করেন তিনি। ১৯৮৫ সালের মধ্যে পুরো দায়িত্বভার তাঁর হাতে তুলে দেন বাবা। তবু বাবাকে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে রেখেই ইস্পাতশিল্পের মান উন্নয়নে নজর দেন।
যেভাবে সাফল্য
নব্বই দশক ছিল ইস্পাতশিল্পের জোয়ার। লাইসেন্স প্রথা তুলে দেওয়া হয়। বহু উদ্যোক্তা বিনিয়োগ করেন। রডের কাঁচামাল সহজলভ্য করে জাহাজ ভাঙার পুরোনো লোহা। ঠিক এ সময়ই শক্তিশালী রড নির্মাণের জন্য যুক্তরাজ্য থেকে আনা হয় কারখানার যন্ত্রপাতি। ১৯৮৭ সালে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশক্তির ৬০ গ্রেড রড তৈরি শুরু হয় তাঁর হাত ধরে।
আলীহোসাইন বলেন, ‘৪০ গ্রেডের তুলনায় ৬০ গ্রেড রড ব্যবহার করা হলে ৩০ শতাংশ রড সাশ্রয় হয়। নির্মাণশিল্পে এটা বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে সে সময়। যুক্তরাজ্যের যন্ত্র দিয়েই ২০ বছর ধরে ৬০ গ্রেডের রড উৎপাদন করি। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। অন্যরাও শুরু করে।’
এক যুগ আগে নির্মাণশিল্পে জোয়ার শুরু হয়। আবাসন খাতের উত্থান ঘটে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইলেন না আলীহোসাইন। ইতালি থেকে নিয়ে এলেন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি। বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড কারখানায় ২০০৮ সালে প্রথম তৈরি হলো ৬০ গ্রেডের চেয়ে আরও বেশি শক্তির ৫০০ গ্রেড রড।
২০০৮ সালে উচ্চশক্তির রড উৎপাদনের যে বিপ্লব ঘটিয়েছেন, তা চলছে এখনো। ২০১৫ সালে সুউচ্চ স্থাপনা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, টানেল ও বড় ধরনের সেতু নির্মাণে ৮০ গ্রেডের বিএসআরএম ম্যাক্সিমা নিয়ে আসেন। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার জন্য ‘আলটিমা’, উপকূলীয় এলাকার জন্য লবণাক্ততা ক্ষয়রোধী রড ‘সেঞ্চুরা’ও আসে তাঁর হাত ধরে। বলে রাখা ভালো, আন্তর্জাতিক মানের সক্ষমতার বহু সনদ অর্জন করেছে বিএসআরএমের রড। রপ্তানি হচ্ছে ভারতের ত্রিপুরায়ও।
সাদামাটা জীবন
এত সাফল্য যাঁর হাতে, তাঁর পারিবারিক জীবনই-বা কেমন? সেসব কথা অকপটে বলে গেলেন তিনি। জানালেন, বড় ছেলে আমীর আলীহোসাইন পড়াশোনা শেষ করে ২০০০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। এক মেয়ে হংকং এবং দুই মেয়ে পাকিস্তানে বসবাস করছেন। নাতি-নাতনির সংখ্যা এখন ১০।
এখনো খুব সহজ–সরল জীবন যাপন করেন তিনি। আড়ম্বর ও জাঁকজমকপূর্ণ জীবন পছন্দ করেন না। অহংকার নেই। সময় কাটাতে পছন্দ করেন পরিবারের সদস্য ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে। তাঁর প্রিয় শখ মানুষের জন্য কাজ করা। এখনো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনার জন্য নাসিরাবাদে কারখানার পেছনে স্কুল গড়ে তুলেছেন। সেখানে ৫৫০ জন ছেলেমেয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করছে। যারা মেধাবী, তাদের পরে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ার দায়িত্ব নেন। আবার যশোরে গরিব মেয়েদের জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করেছেন। এসব কাজেই তৃপ্তি পান বলে জানালেন।
নিজের আরেক পরিবারের কথা জানালেন তিনি। বিএসআরএম পরিবার। পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সুবিশাল পরিবার। বিএসআরএম গ্রুপে পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে আরও ১৫ হাজার শ্রমিক-কর্মীর।
বিএসআরএম এখন
বিএসআরএম গ্রুপের এখন আটটি কারখানা। বছরে রড উৎপাদনক্ষমতা ১৬ লাখ টন, বিলেট ১৮ লাখ টন। নতুন বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হলে আগামী দেড়-দুই বছরে দুটোর উৎপাদনক্ষমতা ২০ লাখ টন করে উন্নীত হবে। দেশের পর আফ্রিকার দেশ কেনিয়াতেও সেরা হতে চায় বিএসআরএম। সেখানে কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। কাঁচামাল সংগ্রহের কাজে হংকংয়ে গঠন করা হয়েছে সহযোগী কোম্পানি।
আলীহোসাইন আকবরআলী এখনো চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। বড় ছেলে আমীর আলীহোসাইন এখন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০০০ সালে শিক্ষানবিশ কর্মী থেকে সব বিভাগে দক্ষতা অর্জনের ৯ বছর পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন তিনি। পরিচালক পদে আছেন জোহায়ের তাহেরালী (আলীহোসাইনের চাচাতো ভাই) ও তাঁর স্ত্রী তেহসিন জোহায়ের তাহেরালী এবং আমীর আলীহোসাইনের স্ত্রী সাবিন আমীর।
এখনো যেকোনো সমস্যা হলে বা নতুন প্রকল্পে পরামর্শ দেন আলীহোসাইন আকবরআলী। জীবনের গল্প শেষে বললেন, ‘বাকি জীবনটাও ইস্পাতের মান উন্নয়ন নিয়েই থাকতে চাই। দেশের জন্য কাজ করে যেতে চাই।’
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ নভেম্বর ১১, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,