লেখক: প্রতীক বর্ধন।
পড়াশোনার সময়ের সঙ্গে আয়ের সম্পর্ক আছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পড়াশোনা করলেই আয় বাড়বে, ব্যাপারটা এমন সরলরৈখিক নয়।
‘পড়াশোনা করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’—ছেলেবেলায় এই প্রবাদ বাঙালিমাত্রই শুনেছেন। পড়াশোনায় গাফিলতি করলে অভিভাবকেরা শিশুদের এই প্রবাদের কথা মনে করিয়ে দিতেন। বিষয়টি হচ্ছে, ভালো পড়াশোনা করলে মানুষ ভালো চাকরি করতে পারে, সেটা বোঝানোর জন্যই এই প্রবাদ। ২০২১ সালে অর্থনীতিতে যে তিনজন নোবেল পুরস্কার পেলেন, তাঁদের মধ্যে জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট ১৯৯১ সালে এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি সেখানে দেখেছেন, মানুষের শিক্ষার মেয়াদের সঙ্গে আয়ের সম্পর্ক আছে।
সেই গবেষণায় অ্যাংরিস্ট দেখান, যাঁরা ১২ বছর পড়াশোনা করেছেন, তাঁদের আয় ১১ বছর পড়াশোনা করা মানুষের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। আর যাঁরা ১৬ বছর পড়াশোনা করেছেন, তাঁদের আয় ৬৫ শতাংশ বেশি। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে, এই সম্পর্ক কি কার্য-কারণ সংক্রান্ত। এ নিয়েই কাজ করার জন্যই নোবেল পেয়েছেন জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট। সঙ্গে আছেন আরও দুজন।
অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ২০২১ সালে তিন অর্থনীতিবিদ একত্রে আলফ্রেড নোবেল স্মারক পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁরা যথাক্রমে ডেভিড কার্ড, জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট ও গুইডো ডব্লিউ ইমবেনস।
ডেভিড কার্ড (১৯৫৬) একজন শ্রম অর্থনীতিবিদ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। জোশুয়া অ্যাংরিস্ট (১৯৬০) জন্মসূত্রে ইসরায়েলি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অর্থনীতির অধ্যাপক। গুইডো উইলহেলমস ইমবেনস (১৯৬৩) জন্মসূত্রে ওলন্দাজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিষয়ক পত্রিকা ইকনোমেট্রিকস-এর বর্তমান সম্পাদক। এর আগে অধ্যাপনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে।
সুইডিশ একাডেমি জানিয়েছে, ডেভিড কার্ডকে পুরস্কৃত করা হয়েছে ‘শ্রম অর্থনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ অবদানের কারণে’। বাকি দুই অর্থনীতিবিদকে ‘কজাল রিলেশনশিপ’ বা কার্য-কারণসংক্রান্ত বিশ্লেষণের বিষয়ে পদ্ধতিগত অবদানের জন্য’ নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘কজাল রিলেশনশিপ’ বলতে অর্থনীতিতে কার্যকারণের সেই সম্পর্ক বিন্যাসকে বোঝানো হয়, যেখানে কার্য ও কারণের মধ্যে ভিত্তি এবং উপাদানগত সম্পর্ক বিরাজ করে।
ডেভিড কার্ড (১৯৫৬) একজন শ্রম অর্থনীতিবিদ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। জোশুয়া অ্যাংরিস্ট (১৯৬০) জন্মসূত্রে ইসরায়েলি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অর্থনীতির অধ্যাপক। গুইডো উইলহেলমস ইমবেনস (১৯৬৩) জন্মসূত্রে ওলন্দাজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিষয়ক পত্রিকা ইকনোমেট্রিকস-এর বর্তমান সম্পাদক। এর আগে অধ্যাপনা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে।
সুইডিশ একাডেমি জানিয়েছে, ডেভিড কার্ডকে পুরস্কৃত করা হয়েছে ‘শ্রম অর্থনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ অবদানের কারণে’। বাকি দুই অর্থনীতিবিদকে ‘কজাল রিলেশনশিপ’ বা কার্য-কারণসংক্রান্ত বিশ্লেষণের বিষয়ে পদ্ধতিগত অবদানের জন্য’ নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘কজাল রিলেশনশিপ’ বলতে অর্থনীতিতে কার্যকারণের সেই সম্পর্ক বিন্যাসকে বোঝানো হয়, যেখানে কার্য ও কারণের মধ্যে ভিত্তি এবং উপাদানগত সম্পর্ক বিরাজ করে।
কার্ড আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নির্ণয়ে অবদান রেখেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করলেই যে কর্মসংস্থানের হার কমে যাবে, এমনটা নয়। নোবেল পুরস্কার ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘এখন আমরা জানি, কোনো দেশে নতুন অভিবাসনের কারণে সেখানকার নাগরিকেরা যেমন উপকৃত হতে পারে, তেমনি সেই দেশে যাঁরা আগে অভিবাসী হিসেবে এসেছেন, তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।’ আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা এ-ও বুঝতে পেরেছি, বিদ্যালয়ের সম্পদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে শ্রমবাজারে প্রবেশের সম্পর্ক আছে।’
সুইডিশ একাডেমির পুরস্কার কমিটির প্রধান পিটার ফ্রেডেরিকসন জানিয়েছেন, সমাজের অন্তস্তলের সমস্যা নিয়ে কার্ডের গবেষণা এবং অর্থনীতির পদ্ধতিগত আলোচনার ক্ষেত্রে অ্যাংরিস্ট ও ইমবেনসের কাজ জ্ঞানজগৎকে সমৃদ্ধ করেছে।
পুরস্কার ভাগ হবে
সাম্প্রতিক অতীতে ২০১৯ সালেও তিনজন একত্রে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন এ ক্ষেত্রে পুরস্কারের অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়। এই পুরস্কারের মূল্যমান ১১ লাখ ডলার। মোট পুরস্কারের অর্ধেক পাবেন ডেভিড কার্ড। বাকি অর্ধেক জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট ও গুইডো ডব্লিউ ইমবেনসের মধ্যে সমান হারে ভাগ হয়ে যাবে। সঙ্গে তাঁরা সোনার মেডেল পাবেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ অক্টোবর ১২, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,