সামনে চলার যে পথ বা যে পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে খানিক দূর বা বহু দূর, গন্তব্য যেখানেই হোক শিক্ষা জীবনের পথে, কর্ম জীবনের পথে, অবসর জীবনের পথে বা একেবার শেষ ঠিকানায় তা কোন না কোন ভাবে নিদৃষ্ট পথ ধরে এগিয়ে চলে, থামিয়ে রাখা বা দিক পরিবর্তনের কোন সুযোগ হয় তো থাকে না, খুব প্রচলিত কথায় ” ভাগ্যের লিখন”।
কখনও কখনও খুব স্বাভাবিক ও অপ্রত্যাশিত ভাবে আমাদের সামনে যে পথ থাকে সেই পথ সেই পথ ধরে চলতে বলে আমরা চলি, নিজের বিবেক সেই পথ ধরে চলে। যে পথ খুব স্বাভাবিক ও মেনে নেওয়ার মত তা মানতে আমাদের কোন অনুবিধা হয় না। খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি যখন দেখা যায় সামনের অপেক্ষমান পথটি অপ্রত্যাশিত তখন হোচট খাই বটে কিন্তু সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে হয়। ভুল বিচার, ভুল সাজা হঠাৎ অন্যায় অত্যাচার চেপে ধরা, বড় দূর্ঘটনা, বড় ধরণের রোগ শোক মৃত্যুর দিকে এগিয়ে এমন কি মৃত্যু মুখে পতিত হওয়া।
যে অপ্রত্যাশিত আজ সামনে দাঁড়িয়ে যেখানে খুব স্বাভাবিক গতির পথ থাকার কথা ছিল এর কারণ খুঁজতে গেলে দেখা যায় অপ্রত্যাশিত পথ অপ্রত্যাশিত ভাবেই একটি অপ্রত্যাশিত পথ সৃষ্টি করেছে সেখানে হয়তো কারই প্রত্যক্ষ হাত ছিল না। যদিও সেই অপ্রত্যাশিত পথের দিক পরিবর্তনের ক্ষমতা অনেকের থাকে না তারপরও কঠোর মনবল ও পরিশ্রমের বিনিময়ে আর একটি বিকল্প পথের সূচনা তৈরী করা যেতে পারে তবে সেই ক্ষমতা সকলের হাতে থাকে না।
তারপরও যদি অপ্রত্যাশিত পথ সামনে এসে দাঁড়ায় তা মেনে নিয়ে বরং দুঃখ হতশাকে বিদায় দিয়ে সাফল্যের পথে একের পর এক পথের সূচনা করাটাই সাফল্যের।দুঃখের হতশার ফাঁদে না পড়ে নতুন চিন্তায় নতুন উদ্দ্যামে চললে অন্ততঃ একটি স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত পথের সন্ধান পাওয়া যাবে। নিজের জীবনকে চালিয়ে নেওয়ার চালক নিজেই জীবনে চলার পথে এটাই মূল-মন্ত্র, যেহেতু জীবন আজীবনের জন্য নয় একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সীমাবন্ধ সেখানে পরাজয় দুঃখ কষ্ট মেনে নেওয়াটাও খুব স্বাভাবিক।
ভাগ্য লেখার মুল কলমটি আমাদের হাতে থাকে না শুধু মাত্র ভাগ্য গড়া ও ভাগ্য পরিবর্তনের কিছু পন্থা আমাদের জানা থাকে সেই পন্থাগুলির জীবনের চলার পথে সঠিক প্রয়োগ করাটাই মানুষের বড় দায়িত্ব।
প্রতিটি মানুষ তার ভূমিকার কথা সঠিক ভাবে অবহিত হলে আর সেই পথ ধরে চলেও যদি কখনও অপ্রত্যাশিত পথ সামনে এসে দাঁড়ায় তা মোকাবেলা করার সাহস সব মানুষেরই থাকে।
তারিখঃ অক্টোবর ২৬, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,