প্রযুক্তির কল্যানে আমাদের বড় পাওয়া অন লাইনে বাংলা ভাষার চর্চা, বা নানা বিষয়ে লেখা-লেখি যা কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, ভ্রমন কাহিনীর মত নানান মাধ্যমে সেই সাথে লেখাগুলির আলোচনা ও সমালোচনা। আমার প্রতক্ষ্য দেখায় অনেকে প্রযুক্তির কল্যানটি কাজে লাগিয়ে অনেক লেখা-লেখি করেছেন জীবনের একট বড় সময় কাল ধরে, কি তাদের অর্জন ! তা আমার জানা নেই!
এখন অনেকেই বলছেন বাংলা ভাষায় লেখার জায়গাগুলিতে সেই আগের মত লেখা-লেখি হয় না, মান সন্মত লেখা আসে না, সেই সাথে লেখক ও পাঠকের অনুপন্থিতি। এক কথায় প্রকাশ করতে যাকে বলে খরা, যেন আষাঢ়ে আষাঢ়ের ঢলের অনুপন্থিতি।
অনেকে যেমন আর আগের মত লিখছেন না, বাংলা ভাষায় লেখার জায়গাগুলিতে সময় দিচ্ছেন না সেখানে আমারও গা ঢাকা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু বেশ কয়েকটি কারণে অন-লাইনে বাংলায় লেখা লেখি কেন থামিয়ে দিলাম না ! আমার কাছে ক্ষুদ্র কয়েকটি কারণ আছে, যেমন-
– লেখা লেখি থামিয়ে দিলে বেশ কষ্ট করে বাংলায় টাইপিংএর একট দক্ষতা আয়ত্বে এসেছিল অর্থাৎ টাইপিং দ্রুততা, তাই নিয়মিত না লিখলে তা ঘোড়া দৌড়ের বদলে গরুর গাড়ির দলে যোগ দেই, তাই অনেকের চলে যাওয়ার সাথে সামিল হলাম না।
– অন লাইনে প্রথমের দিকে বাংলায় লিখতে গিয়ে বানানে অধিক সংখ্যক ভুল হতো, অনেক শব্দ সঠিক অক্ষরে লেখাও হত না, লিখতে লিখতে কিছুটা বানান উন্নতির দিকে যাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে, বিশেষ করে অনেক সন্মানিত লেখকগন আমার লেখা পড়ে ভুল গুলি ধরিয়ে দিয়েছেন বারবার, আর তা ২য় বার ভুল হয়েছে বলে মনে হয় না, তাই শুদ্ধ বানান চর্চার কারণে অন-লাইনে বাংলায় লেখা লেখি থামিয়ে দিলাম না।
আরও নানান অনেক কারণ আছে, লেখার কৌশল বদলের কারণে অনেকেই লেখার সারমর্ম পড়তে চায়, তাই অন-লাইনে বাংলায় লেখা লেখি থামিয়ে না দেওয়ার আরও কিছু কারণের সারমর্ম হলো – বার বার মনে হয় আজ যদি না লিখি তবে কাল যদি আর লিখতে না পারি ! লেখার সময় আরও যে লেখার ভাবনাগুলি মাথায় আসে তা যদি আর না আসে ! আবার কখনও কখনও মনে হয় একটি দিনে যে ২৪ ঘন্টা বা ১৪৪০ মিনিট বা ৮৬,৪০০ সেকেন্ড এই সময় কালের মধ্যে লেখর সময়টিকে মনে হয় জীবনে কিছুটা সময় উন্নত কাজে ব্যয় করলাম, একটি হতাশা ভাব চলে যায় মনে বিরাজ করে একটি সার্থকতা বা সাফল্য।
তারিখ: আগষ্ট ১২, ২০১৫
রেটিং করুনঃ ,