ওয়ান-ইলেভেনের পটপরিবর্তনে রাজনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি। বরং লাগাতার নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এ গভীর সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথও খুঁজে পাচ্ছে না দলটি। ব্যর্থ হচ্ছে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য’ নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ‘কৌশল’ গ্রহণেও। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সক্রিয় রাজনীতিতে অনুপস্থিতিতে ‘নাবিক ছাড়া নৌকা’র মতো অবস্থা দলটির। নেতৃত্বের সংকট ও দফায় দফায় ‘ভুল’ সিদ্ধান্তের ফলে এক যুগ পরও ‘ঘুরে দাঁড়াতে’ পারছে না বিএনপি। বরং বারবার তাদের অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
জোটের শরিক হিসেবে জামায়াতে ইসলামী পাশে থাকায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গেও সম্পর্কোন্নয়ন হয়নি বিএনপির। বিগত নির্বাচনের আগে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়েও চলছে টানাপোড়েন। দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও সন্দেহ-সংশয় তো রয়েছেই। এ অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াতে নানামুখী তৎপরতা চালালেও সাফল্য নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে দলের নেতাকর্মীরা।
এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বুধবার। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে এবার একদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯৭৮ সালের এ দিনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এসে দলটির হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দুইবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়েছে দলটি। দুর্নীতির মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিনে বাসায় থাকলেও সক্রিয় রাজনীতিতে নেই তিনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ছেলে তারেক রহমান ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে দল পরিচালনা করলেও সক্রিয় অনুপস্থিতির শূন্যতা পূরণ হচ্ছে না।
অবশ্য এ অবস্থার জন্য সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়নকে দায়ী করছে টানা তিন দফায় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ই’ দলটির প্রধান দাবি। দেশ ‘গণতন্ত্রহীন’ দাবি করে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ করতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে জনমত তৈরি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করা দলটির সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন শীর্ষ নেতারা। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়ে দলের নেতারা বলছেন, অতীতের ভুল, ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা থেকে শিক্ষা এবং নিয়মিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক, সঠিক নীতি ও কৌশল নির্ধারণে দলে গবেষণা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা বলছেন, ‘গভীর খাদের কিনারা’ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সৎ, যোগ্য, ত্যাগী ও মেধাবী নেতাকর্মীদের খুঁজে নেতৃত্বের আসনে বসাতে হবে। শুধু নিজেদের ‘অযোগ্য’ ও ‘অন্ধ’ সমর্থকদের মাধ্যমে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে ‘কাঙ্ক্ষিত সাফল্য’ অর্জন সুদূরপরাহত হবে বলে মনে করেন তারা। দলমত নির্বিশেষে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ এবং দলে টেনে গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগাতে হবে। একইসঙ্গে নিজেদের ভুলত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দাবি আদায়ে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বিএনপির সামনে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ বটে। আবার আগামী আড়াই বছর পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ক্ষমতায় না এলে ‘অস্তিত্ব সংকটে’ পড়তে পারে দলটি।
১৯৮১ সালে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর প্রথমবার সংকটে পড়েছিল বিএনপি। ‘৮০-এর দশকে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পরও দ্বিতীয়বার গভীর সমস্যার মুখে পড়েছিল দলটি। ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের সময় খালেদা জিয়াসহ বিপুলসংখ্যক শীর্ষ নেতা কারাবন্দি হলে তৃতীয় দফা দলটি নেতৃত্ব সংকটে পড়েছিল। তিন দফাই ভাঙনের মুখে পড়েছিল দলটি। এভাবে নানা সংকট ও ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়েই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেছেন, বাকশাল গঠনের মাধ্যমে সৃষ্ট বিশাল রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি বেশ কয়েকবার সংকটের মুখেও পড়েছে। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিএনপি দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিগত বারো বছর ধরে ভোটারবিহীন একটি সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বিএনপিকে ধ্বংস করতে নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। তার দাবি, বর্তমানে বিএনপি’র লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। গুম করা হয়েছে ৫শ নেতাকর্মীকে। অতীতের মতো সব সময় সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাবে। তার মতে, মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দলের চেয়ারম্যান খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় বিএনপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী আছে। দেশপ্রেমিক জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বিএনপিও ‘ফিনিক্স পাখি’র মতো ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই বিএনপির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
নেই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য :বিএনপি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, কর্মসূচি-স্লোগান, পরিকল্পনা এবং ছায়া সরকার দৃশ্যমান করতে পারছে না বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা। তারা বলছেন, ভবিষ্যতে সরকার গঠনের লক্ষ্য থাকলেও তখন বিএনপি কী করবে- তা স্পষ্ট করতে পারছে না। সুশাসন নিশ্চিত করতে দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সার্বিক বিষয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঘোষণা দেওয়া প্রয়োজন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ‘ভিশন ২০৩০’ শীর্ষক এক রূপকল্প প্রকাশ করলেও এটির আর কোনো অগ্রগতি নেই। বিএনপি ‘অটো বেনিফিশিয়ারি হওয়ার আশা’য় বসে আছে। আওয়ামী লীগের বিপরীতে অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপি ভোটারদের টানতে পেরেছে। এক্ষেত্রে বিএনপিকে কোনো বিকল্প কর্মসূচি দিয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জন করা লাগেনি। এখনও বিএনপির মনোজগতে সেই অবস্থা বিরাজ করছে, যার কারণে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিই আদায় করতে পারছে না।
রাজনৈতিক বিশ্নেষকদের মতে, সারাদেশে বিএনপি’র কর্মী-সমর্থক ও সংগঠন বাড়লেও দলটির মূল লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না। দলের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও আদর্শিক অবস্থান থেকে সরে গেছে। উদার গণতান্ত্রিক ভাবধারার অবস্থান থেকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে দলটির ভেতর।
অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমকালকে বলেন, বিএনপি বিপ্লবী দল নয়, অস্ত্রের রাজনীতি করে না। বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে রাজনীতি করছে। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, দেশপ্রেমিক দল। বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।
সম্পর্কোন্নয়নে বাধা জামায়াত :বিএনপির মৌলবাদী রাজনীতি তথা জামায়াতে ইসলামীর মতো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা রাজনীতিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না দেশি-বিদেশিরা। বিএনপির ক্ষমতার আসার পথে এটিও অন্যতম বড় একটি অন্তরায় বলে মনে করেন বিশ্নেষকরা।
তারা আরও বলছেন, জঙ্গি ইস্যু ও ধর্মীয় মূল্যবোধের রাজনীতি কীভাবে দেখতে চায়- বিএনপি তা তুলে ধরতে পারছে না। আওয়ামী লীগ নিজেকে জঙ্গিবাদবিরোধী দল হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করে তুলেছে। অন্যদিকে, তারা মৌলবাদী রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত সঙ্গে থাকায় বিএনপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। চূড়ান্ত অর্থে জামায়াত কিন্তু বিএনপির বোঝা বলে মনে করেন বিশ্নেষকরা।
দলীয় সূত্র জানায়, জামায়াতকে নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকরা সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন। জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর সঙ্গ ছাড়া নিয়ে বিএনপির ভেতর বিরাজ করছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। বিএনপির ভয় জামায়াতকে সরকার ব্যবহার করতে পারে। ভোটব্যাংকের কথা মাথায় রেখে জামায়াতসঙ্গ ছাড়ার ব্যাপারে দলের হাইকমান্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ড. কামাল হোসেনকে শীর্ষ নেতা মেনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন নিয়েও বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথচলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন নেতাকর্মীরা।
বিশ্নেষকদের ভাষ্য :বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহ্দীন মালিক সমকালকে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বড় দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। আদর্শের তাগিদে আন্দোলনকারী দল, আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দল। আমাদের বামপন্থি দলগুলো এবং আওয়ামী লীগ আদর্শের জন্য রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য গঠিত রাজনৈতিক দল। দুঃসময়ে দ্বিতীয় শ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলো বেশি বেকায়দায় পড়ে- এখন বিএনপির এই দশা। উত্তরণের জন্য দলটির নেতৃত্বের প্রথম সারিতে নতুন মুখ দরকার। দ্বিতীয়ত, লন্ডন কেন্দ্রিক নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সমকালকে বলেছেন, আজ বিএনপি সংকটে, গণতন্ত্রও সংকটে, সরকারি দল সংকটে এবং পুরো জাতিই সংকটে। এ সংকট উত্তরণে বিশ্বাসযোগ্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। ভোট ছাড়া যেমন গণতন্ত্র হয় না, তেমন বিরোধী দল ছাড়াও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়াতে হবে। দলে গণতন্ত্র না থাকলে দেশে গণতন্ত্র চর্চা দূরাশায় পরিণত হবে। বিএনপি’র অন্যতম একটি সংকট নেতৃত্বের। পরিবারতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনকারী বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। এ নেতৃত্বকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হতে হবে। শ্যাডো ক্যাবিনেট প্রক্রিয়া করা দরকার। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পথ চলতে হবে।
কর্মসূচি :প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভোর ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে বিএনপি। সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও মহানগর উত্তর বিএনপির নেতৃবৃন্দ শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিশেষ দোয়া করবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। দলীয় পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। সারাদেশে সব ইউনিট আজ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে এক বাণীতে দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সূত্র: সমকাল।
তারিখ: সেপ্টম্বর ০১, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,